
Assam Flood: বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রেললাইনেই আশ্রয় ৫০০ পরিবারের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধ্বংসী বন্যায় তছনছ অসম (Assam Flood)। এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। প্রশাসন জানিয়েছে, অসমের ২৯টি জেলা বন্যা বিধ্বস্ত। প্রায় ৫০০ পরিবার মাথার ছাদ হারিয়ে এখন রেললাইনে আশ্রয় নিয়েছে।
অসম সরকার জানিয়েছে, বৃষ্টি কমছেই না। জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। আড়াই হাজারের বেশি গ্রাম জলমগ্ন। ঘরবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। অসমে বন্যার জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় রেললাইন জলের তলায় চলে গেছে৷ বিপর্যস্ত সিগন্যালিং ব্যবস্থাও৷ এর জেরেই রেল পথে গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আগরতলা এবং শিলচর৷ ডিমা হাসাও জেলা পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন (Assam Flood)। প্রতি জেলায় লক্ষাধিক মানুষ বিপর্যস্ত। হজাই প্রায় ভেসে গেছে। সেখানে জলবন্দি হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অন্তত ৪৮ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল ছাড়াও উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল), প্যারামিলিটারি ও বায়ুসেনা। দুর্গতদের নৌকা ও হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে।
অসমের কাছাড় জেলায়ও নদীর জল গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে চলেছে (Assam Flood)। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুয়ায়ী ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। জগন্নাথ ও চাঁদসীতে বিএসএফ চৌকিতে জল ঢুকে পড়েছে।

দুর্যোগে রেললাইনের যা অবস্থা, কবে তা ফের চলাচলের যোগ্য হয়ে উঠবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল৷ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগরতলাগামী এবং আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা সমস্ত ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে৷ এর মধ্যে অধিকাংশ ট্রেনই এরাজ্যের উত্তরবঙ্গ হয়ে যায়৷ আশঙ্কা উস্কে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জেলায় বাঁধ ভেঙেছে। বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা, সেতু ও ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধস ও বন্যায় দিটোকছেড়া রেল স্টেশনে আটকে পড়েছেন কয়েকজন যাত্রী। ১১৯ জন যাত্রীকে বায়ুসেনা উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে শিলচরে। বদরপুর ও শিলচর থেকেও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে হোজাই, লখিমপুর এবং নগাঁও জেলায় কয়েকটি রাস্তা ও সেতুর ক্ষতি হয়েছে।