
সাধু-সংঘাতে বড় বিভাজন, ভেঙে গেল অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ
বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে ডাকা বৈঠকে অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের সহ সভাপতি, নির্মল আখাড়ার দেবেন্দ্র সিং শাস্ত্রী মহন্ত রবীন্দ্র পুরী, মহন্ত রাজেন্দ্র দাশের নাম যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন। মহন্ত রবীন্দ্র পুরী মহানির্বাণী আখাড়ার। মহন্ত রাজেন্দ্র দাশ নির্মোহী আখাড়ার। এর জেরে ১৩ সদস্যের আখাড়া পরিষদে ফাটল ধরেছে। প্রথম দলে আছে সাতটি আখাড়া। দ্বিতীয় গোষ্ঠীতে ৬টি আখাড়া।
প্রথম বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দিগম্বর আনি আখাড়ার বাবা হঠযোগীর অভিমত, অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদে তাঁদের তেমন দর নেই, নির্বাচনে পাত্তাই দেওয়া হয় না, তাই তাঁরা নিজেরাই পদাধিকারী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহন্ত রবীন্দ্র পুরীকেই প্রয়াগরাজের বৈঠকে অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের সভাপতি করা হতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। এতে সাতটি আখাড়ার বেশিরভাগ সন্তই ক্ষুব্ধ। আখাড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহন্ত হরি গিরিকেও সন্তরা চান না। এটা শুনে মহন্ত হরি গিরি পদাধিকারী ঘোষণাকে অসাংবিধানিক, বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আখাড়া পরিষদের ঐতিহ্য হল, কোনও সভাপতি কার্যকালের মধ্যেই মারা যান, তবে তাঁর উত্তরাধিকারী বাছাই করতে হবে তিনি যে আখাড়ার, সেখান থেকেই। নরেন্দ্র গিরি ছিলেন নিরঞ্জনী আখাড়ার প্রধান।
আখাড়াগুলির মধ্যে বিরোধ, সংঘাত চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। চলতি বছরেই তিনটি আখাড়া নির্মোহী, নির্বানী ও দিগম্বর হরিদ্বারের মহাকুম্ভের সময় অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ থেকে আলাদা হয়ে যায়। দাবি করে, আখাড়া পরিষদ তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সেভাবে তদ্বির করেনি।