
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্মসংস্থানের তাগিদে শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় জোরদার করা যে দরকার, শিক্ষা ও শিল্প দুই শিবিরই সেই বিষয়ে একমত। এই অবস্থায় রাজ্যের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে। এই বিষয়ে কমিটিও গড়া হয়েছে।
যে-সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রম চালু করতে আগ্রহী, সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) (AICTE) তাদের সম্মতি দিতে শুরু করেছে। স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হয় প্রতি বছরই। আগামী বছরের জন্য বৃত্তিমূলক পঠনপাঠনের কার্য়ক্রম চালু হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। বৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। বৃত্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হলে ইনস্টিটিউটের দেওয়া আইডি জমা করতে হয়। আইডি কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর।
এআইসিটিই-র অধীনে অনেক রকম বৃত্তির স্কিম আছে যেমন—এআইসিটিই প্রগতি স্কলারশিম স্কিম, সক্ষম স্কলারশিপ স্কিম ও এআইসিটিই স্বনাথ স্কলারশিপ স্কিম। এই কার্যক্রমগুলিতে রেজিস্ট্রেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নবেম্বর। স্নাতকোত্তর বৃত্তির জন্য পড়ুয়াদের আইডি কার্ডের ভেরিফিকেশন করার শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি।
স্নাতকোত্তর যে কোনও কোর্সের জন্য বৃত্তি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৪০০ টাকা করে।
প্রগতি স্কিমের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। ১০+২ বা সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বছর বা দ্বিতীয় বর্ষে কারিগরি ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। পারিবারিক বার্ষিক আয় আট লাখ টাকার কম হতে হবে। বৃত্তির অঙ্ক বছরে ৫০,০০০ টাকার মতো।
স্বনাথ স্কলারশিপ স্কিমে বছরে ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। চার বছরের ডিগ্রি কোর্স ও তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। সক্ষম স্কলারশিপ স্কিমেও বিটেক ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়।