
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তোলা পেগাসাস কাণ্ডে উত্তাল দেশ। ইজরায়েলি নজরদারি যন্ত্র পেগাসাসের সাহায্যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি দেশবাসীর ফোনে আড়ি পেতে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগে সরগরম রাজনৈতিক মহল। তার মধ্যেই আগামীকাল বৈঠকে বসছে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের নেতৃত্বাধীন ৩২ সদস্যের তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। লোকসভা সচিবালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বৈঠকের তালিকাভুক্ত অ্যাজেন্ডা হল ‘নাগরিকদের তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা’। কিন্তু বিজেপি বৈঠকে যাচ্ছে না। বৈঠকের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা যাবে না বলে দাবি করে তারা গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বিরোধীরা সংসদ চালাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলছেন, তখনই বিজেপি তারুরের প্যানেলের বৈঠকে না থাকার কথা জানিয়ে দিল।
বিজেপি সাংসদদের বক্তব্য, সংসদের চলতি অধিবেশনের মধ্যে কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তাঁরা তা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটিতে বিজেপির প্রতিনিধিই বেশি। কমিটির সদস্য জাফর ইসলাম বলেছেন, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়সূচি সর্বসমক্ষে আনা উচিত নয়। নিয়মবিধি অনুসারে বৈঠকের গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে বৈঠকের আগেই তার অ্যাজেন্ডা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। কমিটির সদস্যদের মতামত নিয়েই অ্যাজেন্ডা ঠিক হওয়ার কথা। আমরা বৈঠক বয়কট করছি।
এদিকে কমিটির চেয়ারম্যান তারুর আজই বলেছেন, তিনি কাল পেগাসাস অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ নিয়ে সরকারি কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, কেননা অনেক সদস্যের কাছে এটা ‘সবচেয়ে জরুরি বিষয়’। কমিটি কাল ডেকেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসারদের।
দিনকয়েক আগে একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংগঠনের জোট কার্যত বোমা ফাটিয়ে দাবি করে, কেন্দ্রের এখনকার দুজন মন্ত্রী, ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক,তিনজন বিরোধী নেতা, একজন কর্মরত বিচারপতির পাশাপাশি ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী মিলিয়ে ৩০০র বেশি ভেরিফায়েড ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে ইজরায়েলি পেগাসাস অ্যাপের সাহায্যে। যেহেতু অ্যাপটি শুধুমাত্র সরকারি এজেন্সিকেই বিক্রি করা হয়েছে, তাই প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকারই কি ফোনে নজরদারির পিছনে আছে। বিজেপি যদিও বলছে, পেগাসাস নিয়ে তোলা গোটা অভিযোগই ভিত্তিহীন, যার কোনও সারবত্তাই নেই।