
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিসলস বা হাম ক্রমেই মহামারী হয়ে উঠছে মুম্বইয়ে (Mumbai Measles Outbreak)। মঙ্গলবারই হামে এক বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছিল, আর আজ বুধবার ৮ মাসের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৩। হাম এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে উদ্বেগ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে প্রশাসনের।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর তরফে জানানো হয়েছে, গত এক মাস ধরেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিল শিশুটি (Mumbai Measles Outbreak)। গত ১২ নভেম্বর থেকে তার সারা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। শিশুটিকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরেন তাকে কস্তুরবা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল তাকে, কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, ওই শিশুটির হামের প্রতিষেধক নেওয়া ছিল না।
গত এক মাস ধরে হামের প্রকোপ বেড়েছে মুম্বইয়ে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তানাজি সাওয়ান্ত বলেছেন, দক্ষিণ মুম্বইতে হামের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। মুম্বইয়ের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, আহমেদাবাদ, কেরালায় হামে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। দেশের কোন কোন রাজ্যে হামের প্রকোপ বাড়ছে, কোন কোন এলাকায় শিশুদের হামের প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
হাম (Measles) হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায় বাচ্চাদের?
প্রাথমিক ভাবে জ্বর, সর্দি, হাঁচি, সারা শরীরে ব্যথা হয়। তারপরে লালচে র্যাশ (Rashes) বের হতে শুরু করে। সারা গায়ে জলভর্তি ফোস্কার মতো বড় বড় র্যাশ দেখা যায়।
হামের প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর। সেই সঙ্গেই সর্দি, হাঁচি লেগেই থাকে। চোখ লাল হতে শুরু করে, অনবরত চোখ দিয়ে জল পড়ে, চোখের পাতা ফুলে যায়। বাচ্চাদের এই সময় কাশি হয়, গলা বসে যায়। এই উপসর্গগুলি দু-তিন দিন থাকে। মুখের ভিতরে দানা দানা ভাব দেখা দেয় এবং আস্তে আস্তে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
হালকা গোলাপি র্যাশ ৫-৭ দিনের মধ্যে হালকা বাদামি হতে হতে আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় (Measles)। সব মিলিয়ে রোগটা মোটামুটি সাত থেকে দশ দিন ভোগায়।
হামের (Measles) কারণে সাধারণত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Body Immune System) সাময়িকভাবে কমে যায়। সচেতন না হলে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁচি-কাশি, পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। কোনও পুরনো বা জটিল রোগ থাকলে পক্স বা হামের কারণে তা আরও বাড়তে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মিসলস (Measles Vaccine) ভ্যাকসিন ৯ মাসের বাচ্চাদের দেওয়া হয়। এর পরে এম এম আর ভ্যাকসিন (MMR Vaccine) দিলে এই রোগ হয় না বললেই চলে। টিকাকরণ সঠিক সময় হলে বাচ্চাদের ভাইরাসের সংক্রমণ কম হয়।
নজিরবিহীন! অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ফাইল তলব সুপ্রিম কোর্টের