Latest News

দেশজুড়ে ন্যাসের পরীক্ষা হয়ে গেল শুক্রবার, স্কুলে ফিরল কচিকাঁচারা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন ন্যাশানাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে বা ন্যাসের (NAS) পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল।। শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্কুলেই এই পরীক্ষা হয়। এতে ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষায় বসেন শিক্ষকরাও।

মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের মান মূল্যায়নের জন্যই এই পরীক্ষা। ২০১৭ সালে দেশজুড়ে শেষবার এই ন্যাসের পরীক্ষা হয়েছিল। অর্থাৎ দীর্ঘ চার বছর পর ফের হল পরীক্ষা। কোভিড আবহে দীর্ঘদিন পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা কতটা এগিয়েছে, বাচ্চারা কতটা যোগ্য হয়ে উঠেছে অনলাইন পড়াশোনায়, সেসমস্ত বিষয় যাচাই করে দেখা হয়েছে এই পরীক্ষায়।

ক্যাপসুলের পেটে চার নভশ্চর, মহাকাশে পাড়ি দিল ইলনের ড্রাগন

করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই পরীক্ষা হয়েছে। এক-একটি বিদ্যালয় থেকে লটারীর মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় পড়ুয়াদের। প্রতিটি স্কুল থেকে সুযোগ পায় ৩০ জন করে। তারাই পরীক্ষায় বসে। মূলত পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারাই এতে অংশ নিয়েছিল। দেশের অন্যান্য প্রান্তে প্রাথমিক স্তরে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও পরীক্ষায় বসানো হয়েছে।

ছাত্ররা বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষাই দিয়েছে। সোশ্যাল সায়েন্স বা সায়েন্সের প্রশ্ন সাজানো হয়েছিল তাঁদের জন্য। এছাড়া স্কুলের পরিকাঠামো, মিড ডে মিল, শিক্ষকদের নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁদের।

শুধু ছাত্ররা নয়, পরীক্ষা দেন শিক্ষকরাও। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয় স্কুলের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত দিকগুলির বিষয়ে। লাইব্রেরি পরিষেবা, টয়লেট কিংবা ছোটদের মিড ডে মিল, প্রশ্ন ছিল সবকিছু নিয়েই। সরকারি স্কুলের মান আরও উন্নত করার জন্যেই এই পরীক্ষা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সরকারের দরবারে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন শিক্ষকরা।

মাল্টিপল চয়েস পদ্ধতিতে ওএমআর শিটে ন্যাসের এই পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে খুশি ছাত্র শিক্ষক সকলেই। ন্যাসের এই পরীক্ষার জন্যেই দীর্ঘদিন পর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে কচিকাঁচারা। তাতেও বেজায় আনন্দ পেয়েছে তারা। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল খুলে যাচ্ছে। তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারাই এখন স্কুলে যাবে, সকলের জন্য অফলাইন ক্লাস এখনও শুরু হয়নি।

দেশের ৩৮ লক্ষ পড়ুয়ার এই ন্যাসের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ৯২ শতাংশ পড়ুয়াই পরীক্ষা দিয়েছে। তবে নীচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রী যেমন পঞ্চম শ্রেণী ও তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে কোথাও কোথাও উপস্থিতির হার কম ছিল। তাদের ওএমআর শিটে পরীক্ষা দিতে সমস্যাও হয়েছে বলে খবর। অনেকেই প্রশ্ন বুঝতে পারেনি।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’

You might also like