
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রকাশ্যে গুলি-বোমা চালিয়ে খুন করা হয়েছে নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল শেখকে (Nadia TMC Leader Murdered)। পরের দিন সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকায় ছেয়ে আছে চাপা আতঙ্ক। থেকে থেকে পুলিশি টহল চলছে। গতকালই জেলা পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র সিং ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনার সময়ে যে সরকারি নিরাপত্তা কর্মী নিহত নেতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁর কাছ থেকে সমস্ত বিস্তারিত বিবরণ নেন।
জানা গেছে, মতিরুল এবং তাঁর একজন নিরাপত্তা কর্মী একটি মোটরবাইকে ছিলেন গতকাল। আর একটি মোটর বাইকে ছিলেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। নওদার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ভর সন্ধেবেলায় পরপর বোমাবাজি ও গুলি চলে তাঁদের লক্ষ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা মতিরুলকে গুলি করার পরে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতও করা হয়।
এই খুনে ইতিমধ্যেই আঙুল উঠেছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন খুনের রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে। মতিরুল খুনের নেপথ্যেও তাঁর নিজের দলের কর্মীদের একাংশের মদত রয়েছে বলে অনুমান প্রাথমিক তদন্তে। আজ সকালে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন নদিয়া জেলার একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মী।
গতকালই এলাকার বিধায়ক এবং নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্যর তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, দলের ভিতরের মনোমালিন্যই এই খুনের কারণ। সম্প্রতি বেশ কিছু সভাতে দেখা গিয়েছে যেখানে এলাকার তৃণমূল নেতা টিনা সাহা থাকতেন, সেখানে মতিরুল থাকতেন না। ভোটের অঙ্ক কষতে গিয়েই কি সরিয়ে ফেলা হল মতিরুলকে, প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।

মতিরুল শেখের স্ত্রী রিনা বিবি আজ সকাল থেকে নওদা থানায় রয়েছেন অভিযোগ করার জন্য। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে নওদা থানার পুলিশ-প্রশাসন।