
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: মদনপুরের নিখোঁজ ছাত্র ( Nadia Student Missing ) সন্তু ভট্টাচার্য নিখোঁজ মামলার দায়িত্ব সিবিআইকে ( CBI ) দিয়েছে হাইকোর্ট ( High Court )। আদালতের এই সিদ্ধান্তে সন্তুর খোঁজ মিলবে বলেই আশা ভট্টাচার্য পরিবারের। সন্তুর ঠাকুমা গীতা ভট্টাচার্য আদালতের রায় জানার পর বললেন, ‘আমি মন থেকে সিবিআই তদন্ত চেয়েছি। খুব খুশি, সঠিক বিচার পাব। আমি চাই নাতি ফিরে আসুক।’
কী হয়েছিল সন্তুর?
২০১৭ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে টিউশন গিয়ে আর ফেরেনি নদিয়ার মদনপুরের নবম শ্রেণির ছাত্র সন্তু ভট্টাচার্য। ওই দিন ছিল রবিবার। সন্ধে ছ’টা নাগাদ মদনপুর চ্যাটার্জি পাড়ায় অন্বেষা ম্যাডামের কাছে পড়তে যায়। দু’ঘণ্টা পড়ে ছিল। তারপর বন্ধুবান্ধব মিলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। গীতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘টিউশন পড়ে ফেরার সময় ইন্দিরা মোড় থেকে ছেলেটা কোথায় গেল কেউ বলতে পারছে না। রাত দশটা বেজে গেলেও নাতি ফেরেনি। প্রতিবেশীদের নিয়ে তারপর সারারাত খোঁজাখুঁজি করলেও সন্ধান মেলেনি।’
পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ ছাত্রের ঠাকুমা। গীতা দেবী বলেন,‘গভীর রাতে চাকদহ থানায় গেলেও অভিযোগ নেওয়া হয়নি, ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন এক নেতার সহযোগিতায় পুলিশ অভিযোগ নেয়।’
আবাস যোজনার সমীক্ষায় গেলেই হুমকি আসছে! ধনিয়াখালির বিডিওর দ্বারস্থ আশাকর্মীরা
পরিবারের দাবি অনুযায়ী সন্তুর বন্ধুরা পরদিন এসেছিল। তাদের কথা মতোই গঙ্গার পাড়ে খোঁজাখুঁজি করে সন্তুর ব্যাগ ও সাইকেল পাওয়া যায়। মদনপুর ফাঁড়ির পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। তবে সন্তুর বন্ধুদের মধ্যে কেউ আবার পুলিশের থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার অনুরোধও করে। যদিও পরিবার সে কথাতে কান দেয়নি।
পরে পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। গীতা ভট্টাচার্যের আক্ষেপ, ‘মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নাতির খোঁজ পায়নি ওর দাদু। নিখোঁজের পর পাঁচ বছর চার মাস কেটে গেলেও সিআইডি নাতির খোঁজ দিতে পারেনি। উল্টে সিআইডি আমাদের নানা কথা বলেছে। এমনকী সিআইডি বলেছে, আপনারা জানেন ছেলে কোথায় আছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ ছিল তাই রাগ করে চলে গিয়েছে। ’
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নিখোঁজ মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দিয়েছেন। তাই এবার সন্তুর পরিবার চাইছে, সত্যিটা সামনে আসুক।