
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে অন্তত মাস পাঁচেক আগে মৃত্যু হয়েছে মন্দিরা দাসের (Nadia)। বাড়িতেই খাটের উপর শোয়ানো তাঁর মৃতদেহ। অবশ্য দেহের আর কিছুই বাকি নেই, যা আছে তার সবটাই নরকঙ্কাল। ৫ মাস ধরে মায়ের দেহ এভাবেই আগলে রেখেছে মধ্যবয়সি মেয়ে। পুলিশ জিজ্ঞেস করতেই জানিয়েছে, ‘ওই তো মা দুধ খাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কি শাহবাজ শরিফ? কে তিনি
ঘটনা নদিয়ার ধুবুলিয়ার। কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া আরও একবার ফিরে এল সেখানে। মন্দিরা দাসের মেয়ে দোলার বয়স ৩৮ বছর। মাকে নিয়ে একাই থাকতেন বাড়িতে। পেট চালাতেন বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে। তাঁর মা যে মারা গিয়েছেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পাড়াপ্রতিবেশীরা। মায়ের কঙ্কাল বিছানায় শুইয়েই দিনের পর দিন কাটাচ্ছিলেন দোলা।
দীর্ঘদিন দোলার মা মন্দিরাকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারপরেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। অথচ কোনও গন্ধ কিন্তু পাড়ায় ছড়িয়ে পড়তে দেননি দোলা, দরজা জানলা সব এয়ারলকড। তাছাড়া তাদের বাড়ির ঠিক আশপাশে খুব একটা বসতিও নেই, ফলে পাঁচ মাস ধরে বিছানাতেই পচেছে মন্দিরা দাসের দেহ।
ধুবুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দেখা যায় মৃত কঙ্কালের পাশেই রাখা দুধের গ্লাস। তা দেখিয়েই দোলা জবাব দেন তাঁর মা দুধ খাচ্ছেন। আপাতত পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে কীভাবে মন্দিরাদেবীর মৃত্যু হল। মায়ের মৃত্যুর আগে থেকেই দোলার মানসিক ভারসাম্য বিগড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীদের কেউ কেউ। তাঁর বাবা সংসার ফেলে চলে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। নিজে বিয়েও করেননি দোলা। মাথার ঠিক থাকত না সবসময়। কিন্তু তাই বলে মায়ের দেহ আগলে তিনি মাসের পর মাস এভাবে কাটিয়ে দেবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ।