
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার (mamata banerjee administration) সরকারি অর্থ (public money) রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ (allegation) করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাস্তব হল, এ বিষয় নিয়ে এখনও প্রশাসন আন্দোলিত নয়। বরং প্রশাসনের অন্দরে জল্পনা ও আলোচনা যে কয়লা-বালি (coal) (sand) (mining) নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন (nabanna) থেকে নয়া নির্দেশ (directives) গিয়েছে জেলায়। সূত্রের দাবি, সেই নির্দেশ মৌখিক (verbal)। তাতে বলা হয়েছে, নবান্নর অনুমতি ছাড়া কয়লা-বালি তোলা যাবে না। এবং দ্বিতীয় কারও নির্দেশ যেন না শোনা হয়।
এহেন নির্দেশ নিয়েই কৌতূহলের উদ্রেক হয়েছে। এমনিতেই তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছিলেন, কয়লা-বালি নিলাম নিয়ে জেলা শাসকের কোনও এক্তিয়ার থাকবে না। নিলাম যদি করতে হয় তা কেন্দ্রীয় ভাবে নবান্নের নির্দেশে হবে। এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করার কথাও কথা বলা হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সেই নির্দেশের পরেও নতুন করে মৌখিক নির্দেশ কেন দিতে হচ্ছে! আর নবান্ন বহির্ভূত দ্বিতীয় কারও এক্তিয়ার থাকবেই বা কেন! তবে এও ঠিক যে, এর পরেও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে স্থানীয় ভাবে বারবার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলগুলিও সেই অভিযোগ তুলেছে।
কয়লা-বালি নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিসর অনেক দিন ধরেই ঘোলাটে হয়ে রয়েছে। বেআইনি কয়লা পাচার নিয়ে ইতিমধ্যে এক মাফিয়া, ইস্টার্ন কোলফিল্ডের কয়েকজন কর্তা, কিছু পুলিশ কর্তা, রেল কর্মী এবং এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ওই রাজনৈতিক নেতা আবার ফেরার। সেই তদন্ত কেন থমকে গেছে তা নিয়ে আবার মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে উচ্চ আদালত।
কিন্তু এসবের উর্ধ্বে নবান্নের তরফে নয়া নির্দেশ নিয়ে এখন প্রশাসনে জোর জল্পনা ও আলোচনা চলছে। এই নির্দেশের কোনও রাজনৈতিক আঙ্গিক রয়েছে কিনা তা নিয়েই কৌতূহল অনেকের।