Latest News

নবান্ন নামল জমি তল্লাশিতে, শিল্পের জন্য বেসরকারি জায়গাও খোঁজার নির্দেশ

রফিকুল জামাদার

যে এলাকায় শিল্প (Industry in Bengal) হবে বলে জমি রাখা রয়েছে, সেখানে কারখানা হচ্ছে না। যে এলাকায় শিল্প করার ঝোঁক রয়েছে শিল্পপতিদের সেখানে সরকারের অধিগৃহীত জমি নেই। এ হেন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনগুলিকে ঝাঁকুনি দিতে চাইল নবান্ন (Nabanna)।

সোমবার রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসকরা। ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেও। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলা শাসকদের দু’টি বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। এক, সরকারের যেসব জমি বন-বাদার হয়ে পড়ে রয়েছে সেগুলিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, শিল্প করার জন্য বেসরকারি জমি খুঁজতে হবে।

ধরা যাক, জঙ্গলমহলের কোনও একটি জায়গায় হয়তো ১০০ একর জমি নিয়ে রেখেছে কোনও শিল্প গোষ্ঠী। কিন্তু সেখানে শিল্প হওয়ার কোনও নামগন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই শিল্পগোষ্ঠীর কাছে জানতে চাওয়া হবে, কবে তারা প্রকল্প দাঁড় করাবে? না পারলে বলে দেওয়া হোক। সরকার বিকল্প বন্দোবস্ত করবে। কিন্তু ওভাবে জমিকে বেওয়ারিশ করে ফেলে রাখা যাবে না।

বিকল্প বন্দোবস্ত কী?

রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে, শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে যদি শিল্পস্থাপন না হয়ে থাকে তাহলে তা মাটিসৃষ্টির কাজে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ সেই জমিকে চাষযোগ্য করার চেষ্টা করা হবে। তাছাড়া নবান্নের ভাবনার মধ্যে আরও একটা বিষয় রয়েছে। তা হল, ওইসব জমিতে পাট্টা বিলি করে গরিব মানুষের বাসস্থান করে দেওয়া।

জমি চিহ্নিত করার কাজে একটি বেসরকারি এজেন্সিকেও কাজে লাগানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেই সংস্থা রায়তি জমি ও খাস জমি খুঁজে রিপোর্ট দেবে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছেন, চিহ্নিতকরণ হয়ে যাওয়ার পর রায়তি ও খাস জমিকে আগামী দিনে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা ঠিক করবে নবান্ন।

এদিনের বৈঠকে আরও কয়েকটি বিষয়ে জেলা প্রশাসনগুলিকে একপ্রকার সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফে। বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের তালুক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। সেইসঙ্গে এও বলা হয়েছে, বিভিন্ন জেলায় যেখানে যেখানে শিল্প গড়ে উঠছে লাগোয়া এলাকায় তার সম্প্রসারণের দিকটিও দেখতে হবে।

তাঁর এই মেয়াদের সরকার যে শিল্পায়নে মনোনিবেশ করবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শপথ নেওয়ার পরেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তবে শিল্পের জমির প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুনির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। তাঁর স্পষ্ট কথা, শিল্পের জন্য কখনওই তিনি জোর করে কৃষজমি অধিগ্রহণ করবেন না। তবে শিল্পের প্রয়োজনে এবার বেসরকারি জমি খোঁজার কথাও বলল নবান্ন।

স্বচ্ছতা রক্ষার প্রচার অভিযানে নামছে রাজ্য, সঙ্গী সৌরভ, ইউনিসেফ

You might also like