
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপির নবান্ন (Nabanna) অভিযানের আঁচ নবান্নে সরকারি কর্মচারীদের হাজিরাতেও (attendance)। দফতরের একটি ঘরে যেখানে ১০ জন বসেন অন্যান্য দিন, সেখানে আজ মেরে কেটে তিনজন। কোথাও ৪ জন কোথাও আবার ৫ জন। চেয়ার টেবিল রয়েছে, সেই টেবিলের ওপর আবার ফাইলের পাজা, কিন্তু চেয়ারে কর্মী নেই! অনুপস্থিতির হার চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার নবান্নের চিত্রটা এমনই। এদিন ছিল বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান (rally)। সেই মিছিল ঘিরে সাজো সাজো রব ছিল। একদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা, অন্যদিকে পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে পুলিশ চারিদিকে ঘুঁটি সাজিয়েছে। অর্থাৎ গার্ডরেল, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে নবান্নর চারপাশ। সেই দুর্গ পেরিয়ে নবান্ন পৌঁছন যেন কার্যত অসম্ভব।
বন্ধ শহরের একাধিক রাস্তা। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হোক বা হাওড়া ব্রিজ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড অবরুদ্ধ। গঙ্গার এপার, ওপার যেন সকাল থেকেই স্তব্ধ। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এ তো বছর দুই আগের লকডাউনের ছবি!
সেই ছবিই যেন এদিন দেখা গেল গঙ্গা পাড়ের নীল-সাদা চোদ্দ তোলার বিল্ডিংয়েও। জানা গেল, ট্রেন-বাস-অটো মেলেইনি তাই সরকারি কর্মীদের মধ্যে অনেকেই আসতে পারেননি নবান্নে। নবান্নের ১০ তলায় রয়েছে অর্থ দফতর। সেই দফতরে একটি ঘরে গিয়ে দেখা গেল ফাইল আছে, কাজের চাপও বিস্তর কিন্তু কর্মী খুবই কম। আসতেই পারেননি অনেকে। এক সরকারি কর্মীর কথায়, ‘অনেক রাস্তা বন্ধ। বাস নেই। কী করে আসবে।’
যেন লকডাউন! দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ফিরে এল দু’বছর আগের ছবি
তবে নবান্নের থেকে এদিনের উপস্থিতির হার বা অনুপস্থিতির হার সরকারিভাবে এখনও কিছুই স্পষ্ট করে জানা যায়নি। কিন্তু ছবিটা দেখলেই স্পষ্ট নবান্নে সরকারি কর্মচারীদের অনুপস্থিতি যথেষ্টই।
নবান্নের ভেতরে যখন এই চিত্র বাইরে তখন রণক্ষেত্র চেহারা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা নবান্নে যাবেই, কিন্তু আটকাচ্ছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ কিছু বাকি নেই। পাল্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের থেকে উড়ে আসছে ইট, বোতল ইত্যাদি।
রাহুল সিনহাকে আঁচড়ে দিয়েছে ‘গুন্ডিরা’, লালবাজারে বসে অভিযোগ শুভেন্দুর