Latest News

নবান্নে সরকারি ডায়েরি ও ক্যালেন্ডারে নেই অশোক স্তম্ভ, শুধুই বিশ্ববাংলা!

রফিকুল জামাদার


নবান্নে (Nabanna) প্রতি বছর পূর্ত দফতর ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে। সঙ্গে ডায়েরি। বর্তমান সময়ে এই দুয়ের ব্যবহার কমে এলেও সরকারি রীতি মেনে যা প্রবাহের মতো চলছে। শনিবার সেই গড্ডলিকাতেও ইষৎ ঢেউ দেখা গেল। কারণ, এ বছর যে ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার (diary and calendar) প্রকাশিত হয়েছে তাতে অশোক স্তম্ভের (Ashok Stambh) ছবি নেই। শুধু রয়েছে বিশ্ববাংলার লোগো।

এ নিয়েই বিতর্ক!

সেই আদ্দিকাল থেকে সরকারের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশরাই শিখিয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ব্যাপারটার মধ্যে ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি রয়েছে। এটা কোনও সরকারি নথি নয়, তবে এর অন্য মাহাত্ম্য ছিল। মূলত সরকারি ছুটিছাটা ইত্যাদি হিসাব রাখার কারণেই ডায়েরি ছাপা হত।

নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, কমবেশি সব দফতর তাদের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার ছাপায়। আগে তাতে রাজ্যের নামের সঙ্গে অশোক স্তম্ভের ছবি তথা লোগো থাকত। রাজ্যে পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অশোক স্তম্ভের পাশাপাশি বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার শুরু হয়। এ বছরও অনেকে তা করেছে। শুধু পূর্ত দফতরের ডায়েরিতেই অশোক স্তম্ভ তথা ধর্ম চক্র বাদ চলে গেছে। তার দায় কার?

এ বিষয়ে পূর্ত দফরের মন্ত্রী পুলক রায়কে ফোন করা হলে তিনি সব শুনে বলেন, “বিষয়টা আমি দেখছি। মিস্টেক হতে পারে। তবে দেখে নিচ্ছি”। পূর্ত দফতরের অপর এক শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেন, বিষয়টা তাঁর নজরে পড়েনি। তবে এ বার তিনি খোঁজ নেবেন।

নবান্নের অন্য এক দফতরের আধিকারিক এদিন বলেন, অশোক স্তম্ভের ছবি থাকা প্রত্যাশিত। কারণ সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওটাই প্রতীক। সব রাজ্যের পৃথক সত্ত্বা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সবাই মিলে একটাই দেশ, একটাই সরকারি এমব্লেম। তবে ডায়েরিতে এই ত্রুটি গর্দান যাওয়ার মতো ভুল নয়, মুখ্যমন্ত্রীর লেটারহেড থেকে শুরু করে সরকারের সমস্ত কমিউনিকেশনে অশোক স্তম্ভের লোগো ব্যবহার করা হয়। তা কোথাও লঘু করা হয়নি। বা বিশ্ব বাংলার লোগো দিয়ে তা প্রতিস্থাপনের অপচেষ্টাও কোথাও হয়নি।

ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, তালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা, জল্পনা

You might also like