
নন্দীগ্রামে জখম মমতা, কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে নবান্নর, কিন্তু কেন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সপ্তাহের বুধবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগার ঘটনা নিয়ে, বিশেষ রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ১৭ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির। তবে সে রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি, রিপোর্ট জমা দিতে সময় লাগবে বলে কমিশনকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সেদিনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সমস্ত অফিসার থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির ড্রাইভারের পর্যন্ত– কার কী ভূমিকা ছিল, তারই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। কিন্তু সে রিপোর্ট জমা দিতে এই অতিরিক্ত সময় লাগার কারণ কী?
নবান্ন সূত্রের খবর, যাঁরা সাধারণত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন এবং সেইদিন যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন এখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জেলা সফরে রয়েছেন। ভোটের আগে বিভিন্ন জেলায় প্রচার চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই ব্যস্ত সকলে। এই জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ড্রাইভারও।
এই কারণেই রিপোর্ট তৈরির জন্য তাঁদের সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না এত তাড়াতাড়ি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে সমস্ত তথ্য তাঁদের থেকে সরাসরি খুঁটিয়ে জানতে হবে বলেও দাবি নবান্নের।
শুধু তাই নয়, নবান্ন জানিয়েছে, এই ব্যাপারে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক, যাঁরা এখন দায়িত্বে আছে। যেমন নতুন সিকিউরিটি ডিরেক্টর জ্ঞানবন্ত সিং। তিনিও জেলাসফরেই ব্যস্ত।
সকলের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরেই সেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এছাড়াও নবান্নেরই আরও একটি সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের ঘটনার দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়েছে কয়েক দিন আগেই। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না এখনই। অথচ সে কথা না বলতে পারলে রিপোর্ট পূর্ণাঙ্গ ভাবে তৈরি করা সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, এই সমস্ত কারণেই ১৭ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি, অতিরিক্ত সময় লাগছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।