
অ্যান্টিবডি টেস্ট, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, এলাইজা আইজিজি টেস্ট, ট্রুন্যাট টেস্টের মতো করোনা পরীক্ষায় একাধিক আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে দেশে। তবে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ-পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন)টেস্ট অনেক পুরনো পদ্ধতি। কোভিড সংক্রমণ নির্ভুলভাবে ধরার জন্য শুরু থেকে আরটিপিসিআর টেস্টেই ভরসা করা হয়েছিল। যদিও এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ এবং খরচও বেশি। মাইল্যাব জানিয়েছে, তাদের তৈরি আরটি-পিসিআর সিস্টেমের নাম ‘কমপ্যাক্ট-এক্সএল’ (Compact-XL)। মাল্টি-সিস্টেম মেশিন। একসঙ্গে এক একটি সিস্টেমে ৩২ টিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। সম্পূর্ণ কাজটাই হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। পুরো সিস্টেমের কন্ট্রোল রাখার জন্য একজন বা দু’দরকার হয়। শুধু নমুনা সিস্টেমে ভরে দিলেই হল। বাকি কাজ যেমন টেস্টিং, স্ক্রিনিং, রেজাল্ট দেওয়া সব কাজ মেশিন একাই করতে পারে।
Happy to announce launch of India’s first fully-automated Sample-to-PCR-ready system for molecular diagnostics. Now setting up a lab for RT-PCR tests like Covid-19 will be easier & affordable. Thank you @adarpoonawalla Dr. Cyrus Poonawalla, @abhijitpawarapg for gracing the event pic.twitter.com/e5tY1LnRvR
— Mylab Discovery Solutions (@MylabSolutions) July 7, 2020
এই আরটি-পিসিআর সিস্টেমের প্রোটোটাইপ বানাতে মাইল্যাবের পাশে ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, “দিনে চারশোরও বেশি টেস্ট করা যাবে এই মেশিনে। একাধিক সিস্টেমে একসঙ্গে অনেক নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। রিপোর্টও দেবে খুব তাড়াতাড়ি। যেহেতু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করবে এই সিস্টেম তাই এর পরিচালনার জন্য বেশি মানুষের দরকার পড়বে না। খরচও কমবে।”
This system can perform 400 tests a day with a single person operating it, thus saving us precious manpower and time, allowing us to open up the country more, by testing faster, more efficiently and on a large scale. @MylabSolutions @kiranshaw @CMOMaharashtra @OfficeofUT https://t.co/CVnZgxTEU0
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) July 7, 2020
আরটি-পিসিআর এমন একটি টেস্টিং পদ্ধতি যেখানে আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনকে শনাক্ত করা হয়। শরীরে সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন রয়েছে কিনা সেটা নির্ভুলভাবে ধরে দিতে পারে আরটি-পিসিআর। রিভার্স পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন পদ্ধতিতে একাধিক রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় ভাইরাল স্ট্রেন চিহ্নিত করা হয়। তাই আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ বেশি। অন্যান্য টেস্টের রিপোর্ট নিশ্চিত করার জন্য অনেক সময়েই দ্বিতীয়বার আরটি-পিসিআর করে নেওয়া হয়।
মাইল্যাবের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসমুখ রাওয়াল বলেছেন, এই মাল্টি-সিস্টেম মেশিনকে সঠিকভাবে অপারেট করা গেলে দিনে হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রতিবার স্যাম্পেল টেস্টের পরে এই সিস্টেম নিজে থেকেই স্যানিটাইজ করে নেবে। গত এপ্রিল থেকে সেরামের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই মাল্টি-সিস্টেম আরটি-পিসিআর মেশিন বানানোর কাজ শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাওয়াল। তিনি বলেছেন, এই সিস্টেমে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় বারকোড রিডিং টেকনোলজি, সেল্ফ-স্যানিটাইজেশন টেকনিক, অটো-ফিড প্রোটোকল। প্রাথমিকভাবে হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য। তবে খরচ কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদনে এই মেশিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করে দেখে নেওয়া হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে নিয়ে আসা হবে।