
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মোডার্না, ফাইজারের মেসেঞ্জার-আরএনএ (mRNA Vaccine) ভ্যাকসিন আগেই এসে গেছে। ভারতে প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিন বানিয়েছে জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। এতদিন এই টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছিল মানুষের শরীরে। ট্রায়ালের রিপোর্ট সন্তোষজনক দেখে টিকায় সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল।
জানা গেছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এই টিকা দেওয়া হবে। ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার (mRNA Vaccine) দুটো ডোজ দেওয়া হবে।
ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা, সেরাম ইনস্টিটিউটের মতোই ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে এসেছে ভারতের আরও এক বায়োটেকনোলজি কোম্পানি। ল্যাবরেটরিতে সেফটি ট্রায়ালে সাফল্যের পরে মানুষের শরীরে টিকা দেবে পুণের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। মোডার্না, ফাইজারের মতোই বার্তাবহ আরএনএ (মেসেঞ্জার আরএনএ)সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরি করেছে জেনোভা।
সেরাম ইনস্টিটিউটের মতোই পুণের জনপ্রিয় ভ্যাকসিন (mRNA Vaccine) নির্মাতা সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এইচডিটি বায়োটেক কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা বানিয়েছে জেনোভা।
কী ধরনের টিকা বানিয়েছে জেনোভা? কীভাবে কাজ করবে?
মেসেঞ্জার আরএনএ (mRNA Vaccine)সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জেনোভা। এই টিকার নাম জেমকোভ্যাক ১৯ (GEMCOVAC™-19)। মেসেঞ্জার আরএনএ হল কোষের বার্তাবাহক। কোন কোষে কী প্রোটিন তৈরি হচ্ছে, তার জিনগত তথ্য বা জেনেটিক কোড শরীরের নির্দিষ্ট কোষে পৌঁছে দেওয়াই এর কাজ। আরএনএ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন দিয়েই এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এমআরএনএ সিকুয়েন্সকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে দেহকোষে ঢুকলে সেটি ভাইরাল প্রোটিনের মতো প্রোটিন তৈরি করতে কোষকে উদ্দীপিত করতে পারে। ভ্যাকসিনে থাকা জিনের বিন্যাস দেখে দেহকোষও একই রকম স্পাইক প্রোটিন তৈরি করবে। তখন সেই প্রোটিনকে ঠেকাতে শরীরের ইমিউন কোষ তথা বি-কোষ ও টি-কোষ সক্রিয় হয়ে উঠবে। বি-কোষ থেকে প্লাজমা বা রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
ওমিক্রন শুধু নয়, করোনাভাইরাসের যে কোনও সংক্রামক প্রজাতিকে এই ভ্যাকসিন নিষ্ক্রিয় করতে পারবে বলেই দাবি।