
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: গর্ভেই মারা গিয়েছিল সন্তান। পরে মৃত্যু হয় মায়েরও ( Mother Baby Death )। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ( Kandi Hospital )। সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার।
প্রসূতির নাম তাজমিরা খাতুন। বছর উনিশের ওই প্রসূতি গত ৩১ জানুয়ারি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন শ্বাসকষ্ট নিয়ে। সেদিন তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর অবস্থা খানিকটা ভালো হলে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
তাজমিরার মায়ের অভিযোগ, ডাক্তারবাবুরা মেয়েকে পরীক্ষা করার পর জানিয়েছিলেন বাচ্চা ও মা সুস্থ আছে। তাই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। তাঁদের কথা মতোই মেয়েকে ছুটি করিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই প্রসূতির স্বামী দিনমজুর। গর্ভবতী তাজমিরা ভরতপুর থানা এলাকার সোনাডাঙায় বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। হাসপাতাল থেকে সেখানে ফেরার পর তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে তাঁকে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। ওই চিকিৎসকই তাজমিরাকে পরীক্ষা করে জানান, তাঁর গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। এই বিষয় জানতে পেরে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন ওই প্রসূতিকে ফের কান্দি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয়।
হজমি গুলি ভেবে কীটনাশক খেয়ে বর্ধমানে মৃত্যু ক্লাস থ্রির ছাত্রের
মৃতার স্বামী জাহিরুলের অভিযোগ, স্ত্রীকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসরা ফের স্ত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁরাও জানান, গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তা সত্ত্বেও মৃত সন্তানকে গর্ভ থেকে বের করতে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এদিন সকালে তাজমিরার মৃত্যু হয়।
তাজমিরার মায়ের আরও অভিযোগ, চিকিৎসকরা সিজার না করে নর্মাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যদি সেখানে সময় নষ্ট না করতেন তাহলে মেয়ে বেঁচে থাকত।
প্রসূতির পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসার গাফিলতির উল্লেখ করে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। হাসপাতালের সুপার রাজেশ সাহা জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির রিপোর্টে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।