
জনৈক শীর্ষ পুলিশ অফিসারের দাবি, এটা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। পুঞ্চের সুরানকোট এলাকার বুফিয়াজের কাছে চলতি এনকাউন্টারে প্রাণ হারিয়েছে জারার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর গুলি চালিয়ে পালানোর ছক কষেছিল। কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা গুলিতেই এই বিদেশি জঙ্গি খতম হয়। তার সঙ্গী গা ঢাকা দিয়েছে। নিহত জঙ্গির হেফাজত থেকে উদ্ধার সামগ্রীর মধ্যে আছে একে ৪৭ রাইফেল, চারটি ম্যাগাজিন, একটি গ্রেনেড, কিছু ভারতীয় মুদ্রা। উদ্ধার সামগ্রী থেকে তার পাকিস্তানি যোগসাজশ স্পষ্ট।
গত কয়েক মাস ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল জারার, তার সহযোগী। গভীর জঙ্গল ছিল ওদের আশ্রয়স্থল। কিন্তু খাবার, জামাকাপড়, মোবাইলে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টায় লোকালয়ে বেরতে বাধ্য হয় ওরা। ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তার মোবাইল চালাচালি হওয়া বার্তার ওপর প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালায়, স্থানীয় বাসিন্দারাও ওদের গতিবিধির ব্যাপারে তাদের খবর দেন। বেহরামগালা অঞ্চলের লোকজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পীরপাঞ্জালের জনমানবহীন এলাকায় জারার, তার সঙ্গীকে কোণঠাসা করে ফেলে সেনা-পুলিশ।
এই নিয়ে পুঞ্চ-রাজৌরি বেল্টে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আট সন্ত্রাসবাদী খতম হল। গত মাসে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত হয় ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পাকিস্তান থেকে পাঠানো সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করা গাইড হাজি আরিফ।
এলাকাবাসীর সক্রিয় সহযোগিতায় ভারতীয় সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের যৌথ প্রয়াস পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকায় ইতিবাচক ফল দিয়ে চলেছে বলে জানান জনৈক পুলিশ অফিসার।