
বন্দুকধারীরা প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার পর দেখল থানা ফাঁকা। বীরদর্পে ঢুকল থানার ভেতরে। লক আপে বন্দি ছিল কুখ্যাত খুনি বিক্রম গুর্জর ওরফে পাপলা। তাকে লক আপ থেকে বার করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।
এখানেই নাটকের শেষ নয়। কিছুদূর যাওয়ার পরে দুষ্কৃতীদের একটি গাড়ি খারাপ হয়ে গেল। কাছেই রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল একটি পিক আপ ভ্যান। তারা সেই ভ্যান চুরি করে ফের রওনা হল। কিছুক্ষণ পরে একটি স্করপিও গাড়ি থামাল তারা। ড্রাইভারকে ভয় দেখিয়ে নামিয়ে সেই গাড়ি নিয়ে পালাল তারা।
পাপলার আস্তানা হরিয়ানায়। দুষ্কৃতীরা হরিয়ানার দিকেই যাচ্ছিল। বেহরোরের এসপি আমনদীপ কপূর বলেন, পুলিশ দুষ্কৃতীদের তাড়া করেছিল। রাস্তায় অবরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। রাজস্থান পুলিশের ডিজি ভূপেন্দ্র যাদব অপরাধীদের ধরার জন্য স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ পাঠিয়েছেন।
পাপলা হরিয়ানায় কুলদীপ গ্যাং-এর সদস্য। সে হরিয়ানায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে খুন করেছিল। তার মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসেছে রাজস্থান প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত পুলিশকর্তাদের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়েছেন, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারল। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেছে, কংগ্রেস আমলে রাজস্থানে আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।