
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পরিস্থিতিতে শোক প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, এটা একটা বড় ট্র্যাজেডি। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ খতিয়ান এখনও আমরা জানি না। এখনও জানি না আরও কত জন মারা গেছেন।
শনিবার রাতে আচমকা টর্নেডোতে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েছেন আমেরিকার শহরবাসী মানুষজন। উদ্ধারকার্য চলছে। ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল না। তায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
আমেরিকার কেন্তুকি টর্নেডোর দাপটে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র সেখানেই মারা গেছেন ৭০ জন, জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। অনেকেই বলছেন এত বড় বিপর্যয় আগে দেখা যায়নি। ২৫ ডিসেম্বর আসছে। ক্রিসমাসের প্রস্তুতি গোটা আমেরিকা জুড়েই তুঙ্গে। তার আগে আচমকা এমন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হল মার্কিন মুলুক।
মেফিল্ড শহরে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। তিনি বলেন, প্রথমে শুনেছিলাম, এই প্রদেশে অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন। এখন শুনছি মৃতের সংখ্যা ৮০। মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই। এর আগে বেশিয়ার জানান, ঝড়ের মধ্যে একটি মোমবাতি তৈরির কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু লোক হতাহত হয়েছেন।
জানা গেছে, আরাকানসাস প্রদেশের শহর মনে-তে একটি নার্সিং হোম টর্নাডোয় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সেখানে একজন মারা গিয়েছেন। ওই প্রদেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মিসৌরি ও টেনেসিতেও টর্নাডোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টুইট করে বলেন, ‘ঝড়ে অবিশ্বাস্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’। তিনি আশ্বাস দেন, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সবরকম ত্রাণ পাঠাবে।