
মেফিল্ড শহরে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। তিনি বলেন, প্রথমে শুনেছিলাম, এই প্রদেশে অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন। এখন শুনছি মৃতের সংখ্যা ৭০। মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়ে গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই। এর আগে বেশিয়ার জানান, ঝড়ের মধ্যে একটি মোমবাতি তৈরির কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু লোক হতাহত হয়েছেন।
আরাকানসাস প্রদেশের শহর মনে-তে একটি নার্সিং হোম টর্নাডোয় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সেখানে একজন মারা গিয়েছেন। ওই প্রদেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মিসৌরি ও টেনেসিতেও টর্নাডোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টুইট করে বলেন, ‘ঝড়ে অবিশ্বাস্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’। তিনি আশ্বাস দেন, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সবরকম ত্রাণ পাঠাবে।
কেন্টাকির ডসন স্প্রিং শহরের বাসিন্দা লরি উটোন জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় তিনি ছিলেন মেয়ের বাড়িতে। প্রথমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তারপর প্রচণ্ড শব্দ করে ধেয়ে এল ঝড়। মাত্র তিন-চার সেকেন্ড ঝড় হয়েছিল। তাতেই যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ভয়ংকর।