
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময় যত এগিয়ে আসছে ডার্বি (Derby) নিয়ে উত্তাপ ততই বাড়ছে ময়দানে। বহুদিন বাদে মুখোমুখি হতে চলেছে ময়দানের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী (Mohun Bagan-East Bengal)। তাই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে তরতরিয়ে। ম্যাচের টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। অনলাইন টিকিট শেষ, অফলাইনে টিকিটও নেই বললেই চলে। যা নিয়ে শুক্রবার মোহনবাগানের ক্লাবের সামনে টিকিট না পাওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এল পুলিশ।
হাতে আর মাত্র দু’দিন। এখনও অনেক সমর্থকের কাছেই টিকিট নেই। শুক্রবার ভোররাত থেকেই মোহনবাগানের তাঁবুর সামনে সমর্থকেরা টিকিটের জন্য ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা যত বাড়তে থাকে সেই ভিড় মাত্রা ছাড়াতে থাকে। সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর হতে না হতেই তা লাগামছাড়া হয়ে যায়। সমর্থকদের অভিযোগ, ভোর থেকে লাইন দিয়েও টিকিট পাননি। যা নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
মোহনবাগান ক্লাবের সামনে জনপ্লাবন বললেও কম বলা হবে, যা দেখে অনেকে বলতে শুরু করেছে এই ভিড় দুর্গাপুজোর অষ্টমীর ভিড়কেও হার মানাচ্ছে। স্বভাবতই, চাহিদার তুলনায় টিকিটের জোগান কম। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সমর্থকেরা।
একটা সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। নিয়ন্ত্রণ করতে নামে ময়দান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় ঘোড়পুলিশও। তাদের তাড়া খেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে গেছে উত্তেজিত সমর্থকেরা। অনেকেই স্মৃতির সরণি বেয়ে পৌঁছে গেছেন আশির দশকে। অনেক প্রবীণ সমর্থকের মতে, আশির দশকে ডার্বি নিয়ে এমন উত্তেজনা দেখা যেত।
শুধু মোহনবাগান নয়, ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেও টিকিট নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। অনলাইন টিকিট শেষ, অফলাইনে টিকিট কাটতে ভিড় জমাচ্ছেন সমর্থকেরা। অনেকেই টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বলাই যায়, এখনও পর্যন্ত ডুরান্ড কাপে ময়দানের দুই প্রধান খুব একটা ভাল কিছু করতে না পারলেও আঠাশ তারিখের ডার্বি নিয়ে আলাদাই মেজাজে সমর্থকেরা।
ধোনির ‘ডেপুটি’ হিসেবেই কেটেছে সেরা সময়! ‘৭ ১৮’ লিখে মন জয় বিরাটের