
শান্তার মূল প্রশ্নটি কী ছিল?
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মতো লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল পর্যালোচনা করে একটি ইনডেক্স তৈরি করে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে ৫৩তম স্থানে রয়েছে।
আরও একাধিক সংস্থাই এই ধরনের ইনডেক্স তৈরি করে থাকে। সেগুলির ভিত্তিতে কূটনৈতিক সম্পর্কের ওঠানামা করে। যেমন এই দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের সাত কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে দেশে সরকার বিরোধীদের মানবাধিকার হরণ, গুম খুনের অভিযোগ রয়েছে। বারোটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এই ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। বাইডেন প্রশাসনের গণতন্ত্র সম্মেলনেও সেই কারণে ডাক পায়নি হাসিনা সরকার।
ভারতের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ইত্যাদির মান নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সংস্থা সরব। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের রিপোর্ট তুলে ধরে দার্জিলিংয়ের তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, ভারতের অবস্থান এত নীচে কেন? সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
প্রশ্নটি গ্রহণ এবং জবাবের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাওয়ার পর এখন সেটি বাতিল করতে চায় বিদেশ মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রক প্রথমে জবাব তৈরির জন্য প্রশ্নটি আইন মন্ত্রকে পাঠায়। পরে তারা স্থির করে প্রশ্নটি স্পর্শকাতর। চিঠি দিয়ে বলে প্রশ্নটির জবাব দেওয়া সম্ভব নয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খরবে বলা হয়েছে, মন্ত্রকের বক্তব্য, লন্ডনের ওই সংস্থা তাদের রিপোর্ট তৈরির আগে ভারত সরকারের বক্তব্য জানতে চায় না। তাদের এই মানদণ্ড বা ইনডেক্স তৈরির মানকাঠি কী সে সম্পর্কেও সরকার অবহিত নয়। রাজ্যসভার বিধি উল্লেখ করে তারা চিঠিতে বলেছে, সদস্যদের এমন কোনও বিষয়ে জানতে চাওয়া উচিত নয় যার সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।