
কিন্তু বাস্তবে হল উল্টোটা। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জনা ছয়েক বিজেপি বিধায়ক এমএলএ হোস্টেল থেকে বেরোতে যান। দেখেন এমএলএ হোস্টেলের গেটে বাইরে দিয়ে তালা লাগানো রয়েছে। বেরোতে না পেরে উঠোনেই বসে পড়েন তাঁরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপির একাংশের মতে, শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিতে ভয় পেয়েই প্রশাসন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও প্রশাসনের অনেকের বক্তব্য, বিধায়করা সবাই আজকে কলকাতায় বহিরাগত। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাঁদের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে তাই তাঁদের বেরোতে দেওয়া হয়নি।
যদিও শুভেন্দুর ওই কলকাতা অচলের ডাক নিয়ে বিজেপির মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ অর্ধেক বিধায়ক কলকাতায় নেই। উত্তরবঙ্গের সব বিধায়কই নিজের নিজের এলাকায় চলে গিয়েছেন। ফলে কাকে নিয়ে শুভেন্দু এই কর্মসূচি করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দলের মধ্যেই। অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই বলেছিলেন, রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ হবে।
এদিন দুপুরে কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিজেপির প্রতিনিধিদল। শোনা যাচ্ছে বিকেলে পাঁচটা নাগাদ কমিশনে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল কলকাতায় থাকা বিধায়কদের। কিন্তু তাঁরাও আপাতত তালাবন্দি কিড স্ট্রিটের এমএলএ হোস্টেলে।