
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর কণ্ঠ শুনেই সকাল শুরু হয় তিলোত্তমার। রেডিওতে তাঁর গলা শুনে কাজে বেরোন অনেকেই। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ মানেই মির্চি (Radio Mirchi) ও মীর (Mir Afsar Ali)! কিন্তু, আর সেই কণ্ঠ শোনা যাবে না… মির্চির সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রাপথ শেষ হল মীরের।

শুক্রবার সকালে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট করেছেন মীর। সেই পোস্টেই জানিয়েছেন মির্চি ছাড়ার কথা। রেডিও-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘ ২৮ বছরের। আকাশবাণীতে প্রথমদিনের ছবি দিয়ে মীর লিখেছেন, আমায় শোনার জন্য সবাইকে অনেক ভালবাসা। তবে মির্চি ছেড়েছি, রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে একটু, ৯৮.৩% মতো।
প্রতি রবিবার ‘সানডে সাসপেন্স’ রেডিও মির্চির সিগনেচার প্রোগ্রাম। মীর আফসার আলির গলাও সেই অনুষ্ঠানে অন্য আবেগের নাম। যাওয়ার বেলায় সেই আবেগকেও উস্কে দিয়েছেন মীর। লিখেছেন, ‘গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর’।
ফেসবুকে আকাশবাণীর সেই প্রথমদিনের ছবি শেয়ার করেছেন মীর। ছবিটি ১৯৯৪ সালের ৬ অগস্ট তোলা। সেদিনই বেতার তরঙ্গের দুনিয়ায় প্রথম পা রেখেছিলেন মীর। রেডিও মির্চিতে মীরের যাত্রাপথ সোনায় মোড়া। মীর ছাড়া মির্চি ভাবতেই পারে না কলকাতাবাসী। এখন দেখার মির্চি ছাড়ার পর কোন পথে পা বাড়ান মীর আফসার আলি।
আরও পড়ুন: ৭৩ বছর বয়েসেও হার না মানা জেদ, ৪০ ফুট উঁচু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ বৃদ্ধার! তারপর…