Latest News

লখিমপুর খেরি, পুলিশ ডাকলেও গেলেন না খুনের দায়ে অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্র

দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত রবিবার লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) কৃষকদের জমায়েতের মধ্যে ঢুকে যায় একটি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল। চার কৃষক মারা যান। অভিযোগ, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র। খুনের অভিযোগে তাঁর নামে মামলা করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে জেরা করার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু মন্ত্রীর ছেলে এদিন পুলিশের সামনে উপস্থিত হননি।

ঘটনাচক্রে সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, লখিমপুরের হিংসায় কতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার  করা হয়েছে, কী ব্যবস্থাই বা নেওয়া হয়েছে? এফআইআর দায়েরই বা করা হয়েছে কাদের বিরুদ্ধে? শুক্রবারের মধ্যে এসম্পর্কে শীর্ষ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সরকার। তাতে রিপোর্টে নিহত আট জনের ব্যাপারে তথ্যও জানাতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছে।

সোমবার আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হলেও বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ এই হাই প্রোফাইল অভিযুক্তকে আড়াল করতে চাইছে। বৃহস্পতিবার লখনউ জোনের ইনস্পেক্টর জেনারেল লক্ষ্মী সিং জানিয়েছেন, আশিসকে ইতিমধ্যে সমন পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আসতে বলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ করা হতে পারে। আশিসের ঘনিষ্ঠ দুজনকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ।

অভিযুক্তকে আড়াল  করার চেষ্টার অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, দেশের আইন সবার জন্য সমান। আমরা নিশ্চিত করব, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গাড়িটি তাঁদের বলে স্বীকার করলেও ভয়াবহ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বিরোধীদের দাবি, মিশ্র ইস্তফা দিন, গ্রেফতার  করা হোক  তাঁর ছেলেকে। তার মধ্যেই মিশ্র দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সরকারের তরফে যদিও তাঁর ইস্তফার দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে লখিমপুরে মৃত লাভপ্রীত সিং-এর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ১৯ বছর বয়সী লাভপ্রীতের বাড়ির লোক প্রশ্ন তোলেন, মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে কেন এখনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ?

লাভপ্রীতের বাবা সতনাম সিং বলেন, “সরকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে লাভ কী? পুলিশ এখনও আশিসকে জেরা করেনি। গ্রেফতারও করেনি।” উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি প্রশান্ত কুমারকে প্রশ্ন করা হয়, অভিযুক্তরা ভিআইপি বলেই কি পুলিশ ব্যবস্থা নিতে দেরি করছে? তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খুনিরা ছাড়া পাবে না। একটি এফআইআরও করা হয়েছে। কেউ ছাড়া পাবে না। কিন্তু টিভি চ্যানেলের স্টুডিওতে বসে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।”

You might also like