
এদিন বিকালে অনন্তনাগে পুলিশের এক টহলদার বাহিনীকে লক্ষ করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। অপর একটি ঘটনায় পুলওয়ামা জেলার তাহাব জেলায় সিআরপিএফের ক্যাম্প লক্ষ করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় ক্যাম্পের বাইরে। কোনও হতাহতের খবর নেই।
উত্তর কাশ্মীরের সোপোর শহরে সিআরপিএফের বাঙ্কারের কাছে আর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এখানেও কেউ হতাহত হয়নি। সোপোরের পুলিশ সুপার জাভেদ ইকবাল বলেন, গ্রেনেড না অন্য কিছু থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে যাতে জঙ্গিরা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে সেজন্য রাজধানী শ্রীনগর সহ কাশ্মীর উপত্যকার নানা স্থানে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের নানা জায়গায় চেক পয়েন্ট তৈরি করেছে সিআরপিএফ। চলতি মাসে কাশ্মীরে গ্রেনেড আক্রমণ হয়েছে ছ’বার।
সিআরপিএফের ইনসপেক্টর জেনারেল রবিদীপ শাহি বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের নানা অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বাহিনী টহল দিচ্ছে। তল্লাশি চালাচ্ছে। নাশকতা ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সিসিটিভি ও ড্রোন।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কাশ্মীরে মারা গিয়েছে ১৫ জন জঙ্গি। ২১ জানুয়ারিই মারা গিয়েছে তাদের ন’জন।