
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আষাঢ়ের শুরুতেই ঝাড়গ্রামের জামবুনি ব্লকের কেঁদুয়া গ্রামে দেখা মিলল শামুকখোলের। গাছের ডালে ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে বাসা বেঁধেছে তারা। কথায় আছে, এদের ডানায় ভর করেই নাকি বাংলায় বর্ষার আগমন ঘটে। আর বর্ষা মানেই তো চাষের মরসুম। তাই এই শামুকখোলদের (Migratory Birds) আগমনকে গ্রামে লক্ষ্মীর আগমন হিসাবেই দেখেন বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষার শুরুতেই গাছে গাছে ঘাঁটি গড়ার পর এখানেই তারা ডিম পাড়ে, বাচ্চা বড় করে। এরপর ঠিক কালীপুজোর আগে অর্থাৎ শীতের শুরুতে ছানা সমেত ফিরে যায়। তবে এরা যে ঠিক কোথা থেকে আসে আর শীতের শুরুতে কোথায় যে ফিরে যায়, তা কেউ জানে না।
তবে গ্রামের গ্রামের লোক যেটা মানে তা হল, এই পাখির (Migratory Birds) আগমন মানে বর্ষার আগমন। একইভাবে এই পাখির সংখ্যার উপর নির্ভর করে বর্ষার স্থায়ীত্ব। অর্থাৎ, পাখি যদি বেশি আসে তাহলে বর্ষাও বেশিদিন থাকবে। আর পাখি যদি কম আসে তাহলে বর্ষা কমদিন থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘জীবনেও স্বামীর কাছে ফিরব না’, কাটোয়া আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে জানালেন রেণু
কিন্তু এর পাশাপাশি উঠছে অন্য অভিযোগও। জানা গেছে, চোরাশিকারিদের হাত থেকে এই শামুকখোলদের বাঁচাতে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে এদের বাচ্চা চুরি হয়ে যাচ্ছে। যা আগামী দিনে এদের স্থান পরিবর্তনের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
দেখুন ভিডিও:
গ্রামবাসীরা সকলেই এই পাখিদের লক্ষ্মী মানেন। তাই তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে লক্ষ্মী যদি রুষ্ট হয়ে আর এদিকে না আসে! তাই প্রশাসনের কাছে এই পাখিদের সুরক্ষার আর্জি জানিয়েছেন সবাই।