
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে (এফসিআরএ) চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের আবেদন গত ২৫ ডিসেম্বর খারিজ করা হয় এই সংক্রান্ত ২০১০ এর আইন ২০১১র ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন রুলসে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে না পারায়। কেন্দ্রের আরও দাবি, রেজিস্ট্রেশন রিনিউয়ালের আবেদন প্রত্যাখ্যানের পরও তার রিভিউ চেয়ে চ্যারিটির তরফে কোনও আবেদন তাদের কাছে আসেনি।
চ্যারিটি এফসিআরএ-র আওতায় রেজিস্টার্ড হয়েছিল। তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর 147120001এবং তার বৈধতা ছিল ২০২১ এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে সেই বৈধতার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কিন্তু তাদের রিনিউয়ালের আবেদন বিবেচনা করতে গিয়ে কিছু ক্ষতিকর ইনপুট কেন্দ্রের নজরে আসে। তাই তাদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনের রিনিউয়াল অনুমোদন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের কোনও অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করেনি। স্টেট ব্যাঙ্কই কেন্দ্রকে জানিয়েছে যে, চ্যারিটির তরফেই তাদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার আবেদন পাঠানো হয়েছিল।
গোটা ব্যাপারে মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগে আজ মমতা ট্যুইট করেন, বড়দিনে কেন্দ্র মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে, এ খবর শুনে স্তম্ভিত হয়েছি। ২২ হাজার রোগী ও কর্মী খাবার, ওষুধপত্র পাচ্ছেন না। আইন সর্বশক্তিমান অবশ্যই, কিন্তু সেজন্য মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে আপস চলতে পারে না।
কলকাতার আর্চ ডায়োসিসের ভিকার জেনারেল ফাদার ডমিনিক গোমসও দাবি করেন, এটা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্য আক্রমণ।