Latest News

মায়ানমারের ডলফিনের দেহ ভেসে এল বকখালিতে! সমুদ্রের ধারে হইচই

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মায়ানমারের ডলফিনের (Dolphin) দেহ ভেসে এল বকখালির (Bakkhali) সমুদ্রে। মায়ানমারের ইরাবতী নদীতে এই ধরনের ডলফিন থাকে বলে জানা গেছে। এদের ইরাবতী ডলফিনও বলা হয়ে থাকে। তবে শুধু মায়ানমারই নয়, বাংলাদেশ কিংবা ভারতের সুন্দরবন এলাকাতেও এমন ডলফিন বিরল নয়।

শনিবার সকালে বকখালির হেনরিজ আইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে এই ডলফিনের দেহটি ভেসে এসেছে। ডলফিনটি তিন-চার দিন আগেই মারা গিয়েছিল বলে অনুমান। কারণ বকখালিতে যখন তার দেহ ভেসে এসেছে ততক্ষণে তাতে পচন ধরতে শুরু করেছে।

সমুদ্রতটেই ওই ডলফিনটির দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে সমুদ্রে জাহাজ বা ট্রলারের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। তারপর জলে ভাসতে ভাসতে একসময় সে এসে পৌঁছেছে বকখালিতে।

সমুদ্রের ধারে এই ডলফিনের দেহ দেখামাত্র স্থানীয়রা বন দফতরে খবর দেন। সেখানকার আধিকারিকরা এসে ময়না তদন্ত করেন। দেখা গেছে ডলফিনটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা এবং ৪ ফুট চওড়া। এছাড়া ডলফিনটির ওজন প্রায় ১২০ কেজি।

গঙ্গার ডলফিনের সঙ্গে মায়ানমারের ইরাবতী নদীর ডলফিনের প্রজাতিগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই ধরনের ডলফিনের মুখ তেমন সরু আর তীক্ষণ হয় না। সমুদ্রে ট্রলার চলাচলে এভাবে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের কপালে। এতদিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই সমুদ্রে ট্রলারের উৎপাত ছিল কম। অবাধে সামুদ্রিক প্রাণীরা সেখানে বিচরণ করছিল। এখন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে, সেই কারণেই এই ডলফিনের মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সদ্যোজাতের শরীর থেকে রক্ত বের করে প্রাণ বাঁচিয়েছে কোলাঘাটের হাসপাতাল, কী রোগ হয়েছিল শিশুটির

You might also like