
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আঠেরো পেরোনোর আগেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর রেজিস্ট্রি বিয়েও (Marriage) করেছিল তারা। সেটা ২০১৯ সালের ঘটনা। তারপর তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু ছেলেটি এখন বিয়ে করতে চাইছে না বলে অভিযোগ। এই নিয়েই উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের চাঁচল। ঘেরাও করা হল জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ি। পরে পুলিশ এসে কোনরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাঁচলের ইসমাইলপুর গ্রামে বাবার সঙ্গে থাকে ওই তরুণী। তার মা নেই। গ্রামেরই ছেলে রয়েস রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবক আবার মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনের ভাগ্নে। অভিযোগ, রেজিস্ট্রি বিয়ের (Marriage) পর রাকিবুল ওই যুবতীকে নানান জায়গায় নিয়ে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়। এমনকি সে গর্ভবতীও হয়ে পড়ে। সেই সময়ে জোর করে গর্ভপাত করায় প্রেমিক রাকিবুল। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই সামাজিকভাবে বিয়ের কথা উঠলেই ওই যুবক এড়িয়ে যাচ্ছিল বলে যুবতীর পরিবারের দাবি। যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি বিয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই যুবকের বাড়িতে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয়। যদিও অভিযুক্তের পরিবার মারধরের কথা অস্বীকার করেছে।
সোমবার যুবতীর পরিবারের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনের উপর। তাদের দাবি, নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভাগ্নেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন সভাধিপতি। যদিও রফিকুল হোসেন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তিনি বলেন, “সমস্যার সমাধানের জন্য আমি ওই যুবতীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আলোচনায় না বসে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে”।
রেজিস্ট্রির পরেও বিয়ে (Marriage) করতে না চাওয়ার এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত চাঁচল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনও থমথমে হয়ে আছে গোটা এলাকা।
হেমন্ত-শ্রাবন্তীর ছায়ায় নয়, মৌলিক গান বানিয়েছি ‘আয় খুকু আয়’: রণজয়