
আজ সকাল ১১টায় ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি নিয়ে একটি বক্তৃতা উপস্থাপনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই তিনি কথাপ্রসঙ্গে তোলেন নম্বর-সিস্টেমের কথা। সেখানেই আলোচনা করেন, নম্বরের বোঝা কী করে চেপে বসে পড়ুয়া ও তার পরিবারের ওপরে। কী করে একটা মার্কশিটই শেষ কথা হয়ে ওঠে ছাত্র বা ছাত্রীর জীবনে।
একনজরে দেখে নিন, কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
-
নতুন এক ভারতের ছবি প্রতিফলিত হবে নয়া শিক্ষানীতির আয়নায়। এতে স্কুলব্যাগ আর নম্বরের বোঝা পেরিয়ে আসল শিক্ষায় সমৃদ্ধ হবে জীবন। শুধুই কঠিন জিনিস মুখস্থ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। কারণ ২১ শতক শিক্ষার, জ্ঞানের, অভিনবত্বের।
-
নতুন শিক্ষানীতি অনেকগুলো পরিবর্তন আনথে স্কুলশিক্ষায়। কাঠামোগত বদল তো বটেই, সেই সঙ্গে আনা হবে আরও নানা কারিকুলার স্কিল। আরও বিজ্ঞানসম্মত ও গাণিতিক ভাবে হবে পড়াশোনা। শিক্ষকদের মানও বাড়বে। যে কোনও বিষয়কে শুধু নির্দিষ্ট পরিমাণে পড়ে পরীক্ষায় লেখা নয়, বিষয়গুলি আরও গভীর ও ব্যাপ্ত ভাবে শিখবে পড়ুয়ারা। ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে হাকে-কলমে চলবে ভোকেশনাল ট্রেনিং।
-
গত কয়েক দশকে কোনও কিছুই অপরিবর্তিত নেই। সব বদলে গেছে। তাহলে শিক্ষার নীতিও বদলানো প্রয়োজন। এটা সবে শুরু। একটা নীতি আনা হয়েছে, এবার এর যথোপযুক্ত প্রয়োগ দরকার। সেটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই জটিলও বটে।
সারা দেশের শিক্ষকদের থেকে মোট ১৫ লক্ষ মতামত নিয়ে এই নীতি আনা হয়েছে।
শুধু ক্লাসরুমের ভিতরের পড়াটুকু নয়, সারা বিশ্বকে জানবে পড়ুয়ারা। এই নতুন শিক্ষানীতিতে আরও অনেক বেশি সুযোগ থাকবে পড়ুয়াদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়ার, অনুসন্ধিৎসা জাগিয়ে তোলার। সে যা বইয়ে পড়ে শিখছে, সেটা বাস্তবে প্রয়োগ করতেও শিখবে হাতে কলমে। তবেই তাদের উৎসাহ বাড়বে। সিলেবাসের বোঝা কমিয়ে শেখার আনন্দ বাড়ানো হবে।
ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়াশোনা করতে পারবে পড়ুয়ারা। যে কোনও বিষয় ভাল করে আত্মস্থ করার জন্য মাতৃভাষার বিকল্প নেই। সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া, তাদের বিষয় নির্বাচনে আরও অনেক বেশি বিকল্প থাকবে। বাঁধাধরা বিষয় নিয়ে পড়ে নম্বর পেতে হবে, এটা আসলে শিক্ষার আনন্দকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।