Latest News

মাস্টারমশাইরা উধাও! অযোগ্য তালিকায় নাম উঠতেই স্কুলমুখো হচ্ছেন না অনেকে

দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: ঘুরপথে যারা চাকরি পেয়েছিলেন সেই সব শিক্ষকদের (teachers) নামের তালিকা (ineligible list) প্রকাশ হচ্ছে। তালিকা জানাজানি হতেই বাদ যাওয়া শিক্ষকদের অনেকেই কার্যত গা ঢাকা দিয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষও প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে ওই শিক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীদেরও হাইকোর্টের নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে এমন একাধিক নাম পাওয়া গিয়েছে যাদের নিয়োগ সোজা পথে হয়নি। এদের মধ্যে এক তৃণমূল (TMC) নেতার বৌমাও রয়েছেন। বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর বললেন, “বাগদা বিধানসভার প্রতিটা গ্রামেই দু-একজনকে পাওয়া যাবে যারা চন্দন মণ্ডলের হাত ধরে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। ২০১১ সালের পর এই সরকার একটি চাকরিও স্বচ্ছভাবে দিয়েছে কী না আমার জানা নেই। সবই টাকা পয়সার লেনদেনে হয়েছে। যোগ্যদের বাদ দিয়ে বড়লোকের অযোগ্য ছেলেমেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে।”

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বৌমা রমা মণ্ডল ঘুরপথে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। তিনি বাগদার রণঘাট হাইস্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন। বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, “রমা মণ্ডল শনিবার স্কুলে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর আর আসেননি।”

১৬৯৪ জন গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগও অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ ওই সমস্ত গ্রুপ ডি কর্মীর কাছে পাঠানো হয়েছে। বাগদায় এমন চারজন অযোগ্য শিক্ষাকর্মীর নাম সামনে এসেছে। কাশীপুর গ্রামসভা হাইস্কুলের অসীম বিশ্বাস, ফুলমোহন হাইস্কুলের বিপ্লব বিশ্বাস, কুড়ুলিয়া হাইস্কুলের হরিমোহন ঘোষ এবং আষাড়ু জুনিয়র হাইস্কুলের সুপর্ণা ভদ্র রায়ের বাঁকা পথে নিয়োগ হয় বলে জানা গিয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানেও এক বিধায়কের আত্মীয়কে নিয়ে সরব বিরোধীরা। কাদড়া অতুল কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি হিসাবে কর্মরত ছিলেন শান্তনু মালিক। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “২০১৮ সালে গ্রুপ ডি পদে যোগ দেন শান্তনু মালিক। ২৩ ডিসেম্বর শেষ স্কুলে এসেছিলেন। ডিআই গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন।”

শান্তনু মালিক বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিকের খুড়তুতো ভাই। বিরোধীদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে শাসকদলের নেতারা অবৈধভাবে এইসব নিয়োগ করেছে। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক অবশ্য বলছেন, “শান্তনু মালিক খুড়তুতো ভাই। তবে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এটা বিচারাধীন বিষয়, এর বেশি আর কিছু বলার নেই।”

অনুব্রত জেলা থেকে জেলে ফিরলেন, আপাতত আসানসোলেই কেষ্ট

You might also like