
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাঁথির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘একটু দরজাটা খুলব? একটু খুলি? ১০ সেকেন্ডের জন্য?’ তারপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। রবিবার বিকেলে দেখা গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে উত্তরীয় পরে নিয়েছেন। তারপর শাসকদল দাবি করেছে, আরও আট জন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) ক্যামাক স্ট্রিটের দরজায় আছেন। এব্যাপারে জবাব দিলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga)।
এদিন বিধানসভায় মনোজকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আরও নাকি আট জন লাইনে? আপনি নাকি দলকে ছ’জনের নাম ও দিয়েছেন? জবাবে মনোজ বলেন , ‘আমি কারও নাম দিইনি। আমরা সংবাদমাধ্যমে শুনছি উত্তরবঙ্গের বিধায়করা যেতে পারেন। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কে বা কারা তা জানি না।’
মনোজ আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে ২৬-২৭ জন বিজেপির বিধায়ক আছেন। যদি জানতাম কারা যাবেন তাহলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতাম।’ বিজেপিতে গুঞ্জন, উত্তরবঙ্গের অনেক বিধায়ক ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তার উপর। দলে জানিয়েও নাকি লাভ হচ্ছে না। এই প্রশ্ন অবশ্য নস্যাৎ করেননি মনোজ। তিনি বলেন, সমস্যা হলে দলেই তা বলা উচিত। বাড়িতেও সমস্যা হয়। তারজন্য বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়াটা সমাধান হতে পারে না।
এর মাঝে খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও হিরণ দাবি করেন, ওই ছবি সাজানো। পাল্টা ডায়মন্ড হারবার থেকে হেসে অভিষেক বলেছিলেন, হিরণের উচিত মামলা করা। সেইসঙ্গে এও বলেছিলেন, আরও অনেক কিছু আমরা রিলিজ করতে পারি কিন্তু করছি না।
একুশের ভোটের পর থেকেই বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমছিল। ৭৭ থেকে কমে রবিবার ৬৯-এ এসে দাঁড়িয়েছে। এবার আরও আটের গুঞ্জন হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে শাসকদল।