
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অভিনেত্রী, মডেলদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা যেন সংক্রমণের আকার নিয়েছে কলকাতায়। পল্লবী দের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার নাগের বাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল একুশ বছর বয়সী মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরএক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ (Manjusha Neyogi Death)।
এদিন মেয়ের মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়ে মঞ্জুষার মা বলেন, “কাল ওর একটা ফটোশ্যুট ছিল। সেখান থেকে ফিরে এসে বলে, কালকে তোমার বাড়িতেও বিদিশার বাড়ির মতো সাংবাদিকরা আসবে।” (Manjusha Neyogi Death)
মঞ্জুষার মা এও জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলতেন মঞ্জুষা। বিদিশার মৃত্যুর পর নাকি বলেছিলেন, “আমিও বিদিশার মতো সুইসাইড করব।” যা দেখে অনেকে মনে করছেন, টেলি জগতের নব্যদের মধ্যে হতাশা যে চরম জায়গায় পৌঁছচ্ছে তা স্পষ্ট। আর তা থেকে আত্মহত্যা করার ট্রেন্ডও ছোঁয়াচে হচ্ছে।
মাস ছয়েক আগে এক ফটোগ্রাফারকে বিয়ে করেছিলেন মঞ্জুষা। তাঁর মা জানিয়েছেন, জামাই খুব ভাল। কিন্তু মঞ্জুষা মাঝেমাঝেই বলত, তোমার জামাইকে ফাঁসাব। আমি সুইসাইড করব।
গতকাল বাঘাযতীনে একটি ফটোশ্যুট ছিল মঞ্জুষার। তাঁর মা জানান, ফিরে এসে তালশ্বাস খেয়েছিলেন অভিনেত্রী। পাশের বাড়ির এক মহিলার সঙ্গে খানিকক্ষণ গল্পও করেন। তারপর রাতে নিজের ঘরে আত্মঘাতী হন তরুণী অভিনেত্রী।
কী কারণ?
মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, ইদানিং সিরিয়ালের কাজ খুব একটা পাচ্ছিল না। আমরা বলেছিলাম টাকার দরকার নেই। কাজ করতে হবে না। কারণ আমাদের টাকার কোনও অভাব নেই। যা শুনে অনেকে বলছেন, গ্ল্যামার জগতে ভেসে থাকার নেশায় বুঁদ ছিলেন এই তরুণী। যে কারণে কাজের সুযোগ না পেয়ে ক্রমশ হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন।