
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালি এক বছর অপেক্ষা করে থাকে উৎসবের এই চারদিনের জন্য। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোঁটাতে নতুন জামা কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু সবাই কি পারেন? বাংলার বহু ঘরে আর্থিক কারণে ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্য কুলোয় না। তেমনই কিছু দুস্থ ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের মুখে হাসি ফোঁটানোর উদ্যোগ নিল উত্তর কলকাতার মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ (Manindrchandra College)।
প্রতিবছরের মতো এবছরেরও আরও একবার পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে প্রস্তুত এই বিভাগ। তবে করোনার কারণে সেই আনন্দ ভাগের ক্ষেত্রে কিছুটা বাঁধা পড়েছে। বাদ পড়েছে পরিক্রমা। তাই কলকাতায় নয়, এবার উদ্যোক্তারা পাড়ি দিচ্ছে সীমানা পেরিয়ে ঝাড়গ্রামের বাঁশপাহাড়িতে।
আগামীকাল অর্থাৎ চতুর্থীর দিন এই গ্রামেরই ১৮০ জন আদিবাসী দুস্থ শিশুদের হাতে বস্ত্র ও পুজোর উপহার তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়েই এবছরের পুজো পরিক্রমা সারবে কলকাতার মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ।
আরও পড়ুনঃ তালবাগানে কৃষি ও কৃষক, চতুষ্কোণ পার্কে পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘মানচিত্র না মানা’র গল্প
এবছর একাদশতম বর্ষ। তাই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানালেন বিভাগীয় প্রধান বিশ্বজিৎ দাস। এবছর উপস্থিত শিশুদের এবং অতিথিদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হবে। চতুর্থীর দিন সকাল ১১টা নাগাদ বাঁশপাহাড়ি দুর্গোৎসব কমিটির পুজো প্রাঙ্গনে শুরু হবে অনুষ্ঠান। শিশুদের হাতে নতুন জামা তুলে দিয়ে ওদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার উদ্যোগ। আঞ্চলিক ভাষাতে গান, নাচ, কবিতায় মেতে থাকবে অনুষ্ঠান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় ওদের মধ্যে ৫ জন শিশুর ভবিষ্যতে পড়াশুনার দায়িত্ব নেবে মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ। আনন্দের সুর আকাশে বাতাসে। সেই সুরের খানিকটা এই দুস্থ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারই উদ্যোগে ঝাড়গ্রামে চলেছেন তাঁরা।