
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিআই মামলায় রূপোলি রেখা দেখছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) আইনজীবীরা। কিন্তু কোথায় কী! ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ ইডির গ্রেফতারিকে বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। এর মানে পরিষ্কার, বহিষ্কৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে জেলেই থাকতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসনা করে তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালত মানিককে জেরা করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল।
হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন যে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। কিন্তু ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে মানিককে ইডি দফতরে ডেকে তাঁকে প্রথমে জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করেন।
ঘটনা হল, সিবিআই মামলায় দু’দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট কিছুটা হলেও মানিককে স্বস্তি দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে ঠিক করেনি হাইকোর্ট। মানিককে ওই পদে ফেরানোর কথা অবশ্য বলেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগে যে ২৬৯ জন প্রার্থীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট তার উপর শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে ইডির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়দান স্থগিত রাখে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ইডির গ্রেফতারি নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে সওয়াল করেছেন, যে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই মামলায় তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। যার অর্থ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব মামলাতেই রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু তা গ্রাহ্য না করে ইডি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে।
আবার ইডির তরফে আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা তাঁর সওয়ালে বলেছিলেন যে, দুটি বিষয় পৃথক। ইডি বেআইনি টাকার লেনদেন নিয়ে তদন্তের স্বার্থে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে। দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ ইডির যুক্তিই মেনে নেয়।
মানিকের আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে তাঁদের মক্কেলের সঙ্গে ঠিকমতো দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপযুক্ত আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মানিককে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ সঠিক নয়: সুপ্রিম কোর্ট, বহাল রক্ষাকবচ