
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) কি লন্ডনে (London) বাড়ি আছে? তার ঠিকানা কী? সপ্তাহ দেড়েক সিবিআইকে মানিক ভট্টাচার্যের লন্ডনের বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে দাঁড়িয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে কার্যত চিৎকার করে বলতে শোনা গেল, তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁর যদি লন্ডনে বাড়ি থেকে থাকে, তাহলে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক।
আগের দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য কত বার লন্ডনে গিয়েছেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি জানি। শুনবেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশের বাড়ি কার জানেন? আমি জানি। আদলাত তদন্ত করছে না সিবিআই? ছি ছি, এটা কী হচ্ছে।’
এদিন মানিকের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বলেন, সিবিআই তদন্ত এগোচ্ছে না। ইডিও তাই। খামোকা মক্কেলকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। শুনানির মাঝেই বিচারক চেয়ার ছেড়ে উঠে যান। জানান, ১০ মিনিটের বিরতির পর তিনি এজলাসে এসে সওয়াল জবাব শুনবেন।
বিচারপতি যখন চেয়ার ছেড়ে উঠে যান তখন মানিক দাঁড়িয়েছিলেন কাঠগড়ায়। এরপর আইনজীবীদের ডেকে তিনি বলেন, ‘আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমার নাকি লন্ডনে বাড়ি আছে। আমার যদি লন্ডনে বাড়ি থাকে তাহলে আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক।’
এখানেই থামেননি মানিক। তিনি বলতে থাকেন, ‘সিবিআই বলেছে আমার নাকি দু’টি পাসপোর্ট। একেবারেই না। আমার একটাই পাসপোর্ট। তা রিনিউ করিয়েছিলাম। আর যদি দু’টো পাসপোর্ট হয়ে থাকে তাহলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের।’
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মানিক বলেন, ‘আমার যাদবপুরে একটা ফ্ল্যাট আছে। নদিয়ায় বাড়ি আছে। নদিয়া কি লন্ডন হয়ে গেছে? আমার যে সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে তা কে ফিরিয়ে দেবে।’
এরপরেই মানিককে কাঠগড়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কোর্ট রুমের লকআপে। দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ শুনানির পরবর্তী পর্ব শুরু হয়েছে বলে খবর।
সাতশোজন পড়ুয়ার জন্য মাত্র ৫ কেজি আলু! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সবর অভিভাবকরা