Latest News

Mango: বাজার ছেয়ে চেন্নাইয়ের ‘পারিকুল’, মরসুমের প্রথম আম কিনতে হাত পুড়ছে আমজনতার‌

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কবির লেখায়, ‘আম পাকে বৈশাখে, কুল পাকে ফাগুনে।’ ফাগুন আর কুল, দুই-ই এবছরের মতো বিদায় নিয়েছে। বাজার কাঁপাচ্ছে ‘পারিকুল’। এখনও কাঁচা আম ঝুলছে গাছে গাছে। তাই বাজারে রাজ্যের আমের দেখা নেই। সেই শূণ্যস্থান পূরণ করতে ঢুকে পড়েছে ভিনরাজ্যের পারিকুল, গোলাপখাস, বাঙ্গানপল্লি আম। যাতে হাত দিলেই কার্যত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন ক্রেতারা। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ওই আমের দর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্যপাল-মমতা, চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে যে কে সেই! মেগা ধারাবাহিকে নতুন পর্ব জুড়ল

কলকাতার মেছুয়ায় আম আসছে বটে, তবে সবই ভিনরাজ্যের। পারিকুল আর গোলাপখাস আসছে চেন্নাই থেকে। দক্ষিণভারত থেকে এছাড়াও আসছে বাঙ্গানপল্লী। কিন্তু দেখা নেই রাজ্যের হিমসাগর বা ল্যাংড়ার। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সাধারণত এসময়ে দিনে ৩০–৩৫টা আমের ট্রাক ঢোকার কথা। কিন্তু আসছে ২০–২৫টা। তবে আর বেশিদিন নয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চলে আসবে মালদহ, মূর্শিদাবাদ, নদিয়া আর উত্তর ২৪ পরগণার আম। চাষিরা জানাচ্ছেন, এবছর আমের ফলন কম। দাম আগুন হবে।

Image - Mango: বাজার ছেয়ে চেন্নাইয়ের ‘পারিকুল’, মরসুমের প্রথম আম কিনতে হাত পুড়ছে আমজনতার‌

শিয়ালদার ফল বিক্রেতা রথীন দাস বললেন, ‘বছরের প্রথম মরসুমের আম খেতে সকলেরই ইচ্ছা থাকে। কিন্তু এখন বাজারে রাজ্যে সস্তা আমের দেখা নেই। বাইরের আমের চড়া দাম। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেকে কিনছেন না।’

তিনি আরও বললেন, ‘মালদহের আম একটু দেরিতেই আসে। এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের প্রথমদিকে পাকা আম বাজারজাত হয়। পাশাপাশি অন্য জেলার আম বাজারে ঢুকলেই দাম কমবে। তবে এবছর আমের দাম বেশিই থাকবে।’

মেছুয়ায় আম নেড়েচেড়ে দেখছিলেন অফিসফেরতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। দাম শুনে চমকে গেলেন! বললেন, ‘গোলাপখাস, পারিকুল দাম বলছে দেড়শো–দুশো! বাইরের আম। মিষ্টি হবে কী না, কে জানে। কিনতে ভরসা পাচ্ছিনা।’ এরপর আম ছেড়ে আঙুর কিনে মহাত্মাগান্ধী মেট্রো স্টেশনের দিকে চলে গেলেন তিনি।

তবে বাজার ছেয়েছে পারিকুল আমে। একদম হলুদ রঙের এই আম বেশ নজর কাড়ছে। গোলাপখাস আম ঈষৎ লালচে। সাইজেও বেশ বড় এবং লম্বা। দামও অনেক বেশি। মেছুয়া বাজারের একজন ‘আম বিশেষজ্ঞ’ ক্রেতা জানালেন, ওই আমগুলির বোঁটার অংশ এখনও সবুজ। এগুলো মিষ্টি হলেও গাছপাকা নয়। তাই আমের সেই স্বাদ মিলবে না। ভিনরাজ্য থেকে আমদানি করে এনে কার্বাইড দিয়ে পাকিয়েছে।

ওই বাজারেরই ২৬ নম্বর পট্টির পাইকারি আম বিক্রেতা ইরশাদ আলম জানালেন, ‘এখন আমের বাজার চড়া থাকবেই। কারণ চাহিদা থাকলেও সেই পরিমাণ আম আসছে না। সাধারণত মে মাসের শেষের দিকে আসে গোপালভোগ। জুনের প্রথম সপ্তাহে হিমসাগর, ল্যাংড়া আম পাকে। তখন দাম কিছুটা কমে। তবে এবছর যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, আম কিনতে হাত পুড়বে বাঙালির।

You might also like