
স্থানীয় সিভিল হাসপাতালের ৫ ডাক্তারের টিম অটোপসি করে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার। লোকটি নেশাগ্রস্ত ছিল কিনা, জানতে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য তার ভিসেরা সংগ্রহ করেন তাঁরা। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাঁর চুল, দাত, রক্তের নমুনাও নেওয়া হয়। কেউ দেহটি দাবি না করায় পরে লোকটির শেষকৃত্য করা হয়। এখনও পর্যন্ত এ ব্য়াপারে কোনও খুনের মামলা দায়ের করা হয়নি।
গণপিটুনির ঘটনার দিনই পুলিশ জানিয়েছিল, কপূরথালার গুরুদ্বারে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তার একদিন আগেই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননার চেষ্টা হলে অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
কপূরথালার পুলিশ প্রধান সুরিন্দর সিং জানান, তাঁরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কেউ তাঁর দেহ দাবি করতে আসেনি।
তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করবে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুরুদ্বারের ম্যানেজার অমরজিত্ সিং শিখদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁকে জেরার জন্য আটক করেছিল পুলিশ। রবিবার রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে তিনি নিশান সাহিব বা ধর্মীয় পতাকার অসম্মান করার চেষ্টা করতে তিনি দেখেছিলেন বলে দাবি করেন ম্যানেজার।