
এদিন মমতা বলেন, “জিতে গেছি মানে পাঁচ-বছর নিশ্চিন্ত…সেটা করলে চলবে না। ছ’মাস অন্তর আমি রিভিউ করব। কাজ করতে না পারলে দল, সরকার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
বেলেঘাটার সভা থেকে দিদি বলেছিলেন, যাঁরা কাজ করবেন তাঁরাই কাউন্সিলর হবেন। যাঁরা করবেন না তাঁরা হবেন না। এদিন মমতা বুঝিয়ে দিলেন, সেটা শুধু ভোটের আগের কথা ছিল না। নিয়মিত তিনি কলকাতার কাজ তত্ত্বাবধান করবেন। অনেকের মতে, দিদি দলকে বার্তা দিতে চেয়েছেন, ১৩৪-এর অহং যেন কাউকে স্পর্শ না করে। যে কাজ করার কথা বলে দল ভোট পেয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণই এবার চ্যালেঞ্জ।
এদিন মহারাষ্ট্র নিবাসে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও বার্তা দেন দিদি। দলের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মমতা বলেন, কেউ লবি করবেন না। মনে রাখবেন এখানে একটা লবি—তৃণমূল কংগ্রেস, একটাই নেতা—জোড়াফুল, আর জোড়াফুলের নেতা—মা-মাটি-মানুষ।
এবার কলকাতা পুরসভায় জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪০ জন নতুন। মমতা এদিন বলেন, নতুন, পুরানো মিলিয়েই কাজ করতে হবে। প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী, রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজারা যেমন রয়েছেন তেমনই ববি হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ, রামপেয়ারি রামদের মতো পুর রাজনীতির পোড় খাওয়া নেতারা রয়েছেন। মমতার কথায়, সবাই মিলেই কলকাতাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শহর করার কাজ করতে হবে।