
শুক্রবার ছিল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই অনুষ্ঠানের যিনি সঞ্চালনা করছিলেন, তিনি বাংলাতেই সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু শোনা যায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদবী বলেননি। শুধু বলেন, ‘শ্রীমতি মমতাজি।’
বলা শুরু করেই মমতা বলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ সঞ্চালিকাকে, অন্তত আপনি আমার পদবী ভুলে গেছেন! অথবা নার্ভাস হয়ে গেছেন! যাই হোক, ঠিক আছে!”
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান ছিল। মাঝেমধ্যে এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু জায়গায় শব্দ শোনা যাচ্ছিল না। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, সঞ্চালিকা মুখ্যমন্ত্রীর পদবী বলেনইনি নাকি শোনা যায়নি।
তবে অনেকের ব্যাখ্যা উত্তর ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী নামের পরে ‘জি’ যুক্ত করা মানে সম্মান প্রদর্শন। সেটা কখনও পদবীর পর যুক্ত করে বলা হয় আবার কখনও নামের পর। যেমন বিজেপি শিবিরে, নরেন্দ্র মোদীকে সবাই মোদীজি বলেই সম্বোধন করেন। আবার প্রয়াত সুষমা স্বরাজের ক্ষেত্রে বলতেন ‘সুষমাজি।’ সঞ্চালিকা হয়তো সে ভাবেই বলতে চেয়েছিলেন।
তবে পর্যবেক্ষকদের কারও কারও এও বক্তব্য, ঘরোয়া পরিবেশে যা চলে সরকারি অনুষ্ঠানে তা শোভা পায় না। যদি সঞ্চালিকা মুখ্যমন্ত্রীর পদবী না বলে থাকেন, তাহলে সেটা অনভিপ্রেত। সরকারি অনুষ্ঠানে এরকমটা কাঙ্খিত নয়।