
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলবন্দি রয়েছেন প্রায় পাঁচ মাস। খুব শিগগিরি যে তিনি মুক্তি পাবেন তেমন আশাও দেখছে না তৃণমূল। এ হেন পরিস্থিতিতে ওই জেলায় পার্টি সংগঠন কে চালাবেন? দ্য ওয়ালে আগেই লেখা হয়েছিল এই জেলার সংগঠন দেখভাল করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর হলও তাই।
সূত্রের খবর সোমবার রাঙা বিতানে জেলা তৃণমূলের বাছাই করা নেতাদের বৈঠকে সেই বার্তাই দিয়েছেন দিদি। স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এবার থেকে তিনিই বীরভূমে দলের কাজ দেখবেন।
অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কেউ স্বর তোলার চেষ্টা করেও হালে পানি পাননি। কারণ বরাবর কেষ্টর পাশে থেকেছেন দিদি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, সোমবারের বৈঠকে নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও রাঙা বিতানে ডেকে নিয়েছিলেন মমতা।
জেলার রাজনীতিতে কাজল শেখের সঙ্গে কেষ্টর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায় বলেই সুবিদিত। সেই কাজলকে বৈঠকে ডাকা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, রানা সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকা হয়েছিল দুই সাংসদ অসিত মাল ও শতাব্দী রায়কেও।
মমতার বীরভূম সফর উপলক্ষে জেলায় যে সব ব্যানার, হোর্ডিং টাঙিয়েছে তৃণমূল সেখানে অনুব্রতর ছবি দেখা যায়নি। শুধু মমতা আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে সেখানে। কেউকেউ এও বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি জেলা সংগঠন থেকে অনুব্রতকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তৃণমূল? আগামী চার দিন বীরভূমেই থাকবেন মমতা। অন্য জেলা সফরে গেলেও রোজ ফিরবেন বোলপুর সার্কিট হাউসে।
যদিও তৃণমূল এখনও অনুব্রতকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরায়নি। অন্য কাউকে সারা জেলার দায়িত্বও দেয়নি। শুধু কাজল শেখের মতো অনুব্রতর বিরোধী হিসেবে পরিচত নেতা ডাক পেয়েছেন নেত্রীর বৈঠকে। যা তার গুরুত্ব বাড়িয়েছে বলেই মত অনেকের।
মমতা কি দুই জেলার সংগঠনে সরাসরি নজর রাখছেন, এ মাসেই সফর মুখ্যমন্ত্রীর