
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সোমবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই চিকেন (Chicken) তথা মুরগির মাংসের দামবৃদ্ধি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মমতা। পোলট্রি ফার্মের মালিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করলেন, চিকেনের এত দাম কেন? এও বললেন, কিলো প্রতি দাম ১৫০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকেনের এত দাম কেন?” জবাবে পোলট্রি ফার্ম মালিকরা বলেন, ২০১৮-১৯ সালে ১৫০ টাকা কিলো ছিল। এখন ১৮৫ টাকা কিলো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তখনই বলেন, চিকেনের কিলো প্রতি দাম ১৫০-এর উপর ওঠা উচিত নয়।
কেন দাম বাড়ছে মুরগির মাংসের সে ব্যাপারে বাস্তব কিছু সমস্যার কথা বলেন পোলট্রি ফার্ম মালিকরা। তাঁরা জানান, পোলট্রির মুরগির যে খাবার তার দাম ৭৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এই দু’তিন বছরে। ফলে দামটা বেড়ে গিয়েছে।
অখিল অন্যায় করেছে, আমি ক্ষমা চাইছি: মমতা
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যেই যাতে পোলট্রির মুরগির খাবার তৈরি করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেছেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ ব্যাপারে কাজে লাগাতে হবে। যদি কেউ পোলট্রির মুরগির খাবার তৈরি করার জন্য প্রকল্প নির্মাণ করেন তাহলে সরকার বিনা পয়সায় জমি দেবে বলেও জানান মমতা। তাঁর পরিষ্কার কথা, চিকেনের দাম এত বেড়ে গেলে মানুষ খাবে কী?
তবে চিকেনের দাম এখন খুচরো বাজারে কোথাও কোথাও কেজি প্রতি ২০০ টাকা বা তারও বেশি। যেমন গতকাল রবিবার হুগলির শেওড়াফুলি হাটে মুরগির মাংসর কেজি প্রতি দাম ছিল ১৭৯ টাকা। আবার গঙ্গার উল্টোপাড়ে সোদপুর স্টেশন বাজারে চিকেনের কেজি প্রতি দাম ছিল ২০৫ টাকা।
এদিন নবান্নের বৈঠকে আলুর ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, হিমঘরে মজুত থাকা আলু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ফাঁকা করে দিতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেছেন, ন্যায্য মূল্যে শাকসব্জি দিতে সুফল বাংলা স্টলেও জোর দিতে হবে।