
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উদযাপনকে ‘অমৃত কি মহোৎসব’ (Amrit Ki Mahatsav) ব্র্যান্ডিং করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi)। তার জন্য একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও বিশিষ্টদের নিয়ে। শনিবার দিল্লিতে সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তাঁকে সেখানে বলতে দেওয়া হয়নি। যাকে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের অবজ্ঞা হিসেবেই দেখাতে চাইছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট -সহ একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলার সুযোগ পেলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়নি। বাংলার ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল এলএ গণেশনও তাঁর বক্তব্য বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও তৃণমূলের নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় ক্ষোভ চেপে রাখছেন না। তাঁদের বক্তব্য, আমন্ত্রণ জানিয়ে এটা একরকমের অপমান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। যা সামগ্রিকভাবে বাংলার মানুষেরই অপমান। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দিয়ে রাজ্যপালকে দিয়ে বলানোর অর্থ কী তাও স্পষ্ট।
বিজেপি অবশ্য বলেছে, গণেশন মণিপুরের রাজ্যপাল। বাংলায় তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। তিনি রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেননি। কমিটির একজন সদস্য হিসেবে বৈঠকে বলেছেন।
অনেকের আবার এও বক্তব্য, এই কমিটির এটা ছিল তৃতীয় বৈঠক। প্রায় আড়াইশ জন সদস্য রয়েছেন। সকলকে তো বলতে দেওয়া সম্ভব নয়। ঘুরিয়েফিরিয়েই বলতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবজ্ঞা, অসম্মান না খোঁজাই ভাল। বাম কংগ্রেসের অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন, সরকারি বৈঠকে বিরোধীদের না ডাকা, বলার সুযোগ না দেওয়ার বীজ বাংলায় পুঁতেছে তৃণমূলই। এখন দিল্লিতে গিয়ে সেই গাছেরই ফল খেতে হচ্ছে।
আগমীকাল রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে। সূচি অনুযায়ী সেখানে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শনিবারের ঘটনার পর রবিবার মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে যাবেন কিনা তা নিয়ে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে লুটিয়েন দিল্লিতে।
জয়ী জগদীপ ধনকড়, উপরাষ্ট্রপতি পদে কত ভোট পেলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল