
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জি-২০ (G-20) রাষ্ট্রগোষ্ঠীতে ভারত এ বার নেতৃত্ব (India’s G20 presidency) দেবে। গত মঙ্গলবার তার লোগো (logo) উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লোগোতে দেখা যাচ্ছে পদ্মফুল (Lotus) রাখা হয়েছে, যা বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক। এ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সোমবার সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা গোটা দেশের মর্যাদার বিষয়। আমি বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু মৌলিক প্রশ্ন তো থেকেই যায় যে পদ্মফুল থাকবে কেন?
প্রধানমন্ত্রী জি-২০র লোগো উন্মোচনের পর তার ব্যাখ্যাও করেছেন। ওই লোগোর নিচে লেখা রয়েছে বসুধৈব কুটুম্বকম। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, পদ্ম হল আশা-প্রত্যাশার (Hope) প্রতীক। একটা ভয়ঙ্কর মহামারীর পর গোটা দুনিয়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অস্থির পরিস্থিতিতে পদ্মফুল একটা আশার আলো দেখাচ্ছে। যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি আসুক না কেন পদ্মফুল ফুটবেই”।
জি২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীতে ভারত বহুদিন ধরেই সদস্য। প্রতিবছর এই রাষ্ট্রগোষ্ঠীতে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দেশ প্রেসিডেন্সি পায়, তথা নেতৃত্ব দিতে পারে। গোটা ব্যাপারটাই বিদেশ মন্ত্রক সংক্রান্ত বিষয়। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, যা একেবারে কূটনৈতিক বিষয় তাকে রাজনীতির উঠোনে এনে ফেলতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এটা গোটা দেশের বিষয়। তাই এটা দেখেও কিছু বলিনি। কারণ ভারতের ঘরোয়া এই সমালোচনার খবর বিদেশে গেলে তা ভাল দেখতে লাগে না। তবে এটাও ঠিক যে পদ্মফুল থাকবে কেন?
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “পদ্ম জাতীয় ফুল। নির্বাচন কমিশন সেই ফুল তা প্রতীক দেশের একটি রাজনৈতিক দলকে দিয়ে রেখেছে। সুতরাং সেই প্রতীক ব্যবহার না করাই বাঞ্ছনীয় ছিল।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের জাতীয় পাখি ময়ূর, জাতীয় পশু বাঘ ছিল, এখন সিংহ করে দিয়েছে কিনা জানি না। তবে সে সবও রাখতে পারত। এ ব্যাপারে যদিও আমি আপত্তি করছি না। বাকিরা বলছেন। এই যেমন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করাতে আমার মতামত জানালাম মাত্র।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, জি-২০ সম্মেলনের লোগো একবার স্থির করার পর সরকার তা পরিবর্তন যে করবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করেই জানেন। বরং এ নিয়ে বেশি সওয়াল করলে তাকে কেন্দ্র করেই পদ্ম-হিন্দুত্ব ইত্যাদি রাজনীতির অস্ত্রে শান দিতে পারে গেরুয়া শিবির। তাই তাঁর মত জানিয়েও রাজনৈতিক ভাবে আপত্তি করলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, জি২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীতে ভারত এ বার প্রেসিডেন্সি পাওয়ার পর সোমবার বিকেলে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে মোদী সরকার। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে ফের টাকার পাহাড়! জলপাইগুড়িতে গাড়ির চাকায় ৯৪টি মোটা বান্ডিল, গুনতে এল মেশিন