Latest News

অনুব্রতর জেলায় নতুন দুই থানা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন মমতার

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সেরে সোমবার দুপুরে বীরভূমে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তার আগে বীরভূমে (Birbhum) আরও দুটি পুলিশ-থানা তৈরির ব্যাপারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যে বড় থানা এলাকা ভেঙে নতুন থানা গঠনের ধারা নতুন নয়। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে আগামী দিনে তা আরও করতে হবে বলে মত অনেকেরই। সেই শর্তেই মহম্মদ বাজার থানা ভেঙে মোট তিনটি থানা তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি হল— মহম্মদ বাজার, দেউচা এবং রামপুর।

কেন মহম্মদ বাজার থানা ভাঙা হল?
প্রশাসনিক সূত্রে বলা হচ্ছে, মহম্মদ বাজার থানা এলাকার মধ্যেই পড়ে দেউচা পাচামি কয়লা খনি এলাকা। সেখানে খনি থেকে কয়লা তোলার ব্যাপারে সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি হতে চলেছে দেউচা। সেখানে বড় বিনিয়োগ আসবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের কাছে এখন বড় বিষয়।

দেউচায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এর আগে বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন হয়েছে। কিছু অসন্তোষও রয়েছে এলাকায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই উচ্ছেদ করা হবে। গায়ের জোরে কাউকে সরানো হবে না। সরকার আলোচনার মাধ্যমেই পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাবে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর জেলায় তৃণমূলের রাজনৈতিক রাশ অনেকটা দুর্বল হয়েছে। আগে অনুব্রত যে কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশাসন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তা এখন নেই। একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। দেউচা পাচামিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সেখানে আইনের পরিস্থিতি বজায় রাখাও বকলমে দেখতেন অনুব্রত। সম্ভবত সেই কারণেই এখন বিকেন্দ্রীকরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে খনি এলাকায় কোনও অশান্তি না হয়।

মহুয়াদের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞায় জোড়া পিআইএল

You might also like