
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ময়নাগুড়ি (Mainaguri) কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অজয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করল পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা হল৷
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিত লামার নেতৃত্বে অজয় রায়কে নিয়ে গ্রামে যান ময়নাগুড়ি (Mainaguri) থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। তার আগে গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল, অভিযুক্ত কোন রাস্তা দিয়ে এসেছিল আর কোন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তা সব দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দি রাষ্ট্রভাষা’! অজয়ের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়, ‘বিজেপির মুখপাত্র’ বলছেন বিরোধীরা
২৫ এপ্রিল সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় অগ্নিদগ্ধ ওই নাবালিকার। খুনের হুমকি সইতে না পেরে ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ি ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে স্থানীয় এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। আতঙ্কে ওই নাবালিকা চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়। ওই যুবকের দাদা স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক উধাও হয়ে যায়। নাবালিকার পরিবার ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিন নেয়।
এরপরেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি শুরু হয়। অভিযোগ তুলে না নেওয়া হলে বাড়ির সবাইকে খুন করা হবে বলেও ওই কিশোরীকে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই হুমকির জেরেই ১৪ এপ্রিল দুপুরে বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যায় নাবালিকা।