Latest News

বর্ধমানে ভাতের হোটেলই ছিল মদের ঠেক! মদত দিত পুলিশ-তৃণমূল, দাবি শহরবাসীর

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্ধমানে (Bardhaman) খাবারের থেকে মদ (liquor) সহজে মেলে। শহরের ভেতরে জিটি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে একের পর এক ভাতের হোটেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ হোটেলেই ব্ল্যাকে বিক্রি হয় মদ। প্রশাসন সবই জানে, কিন্তু এসব নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করে না।

তবে এবার সেই ভাতের হোটেলের মদ (liquor) খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। তারপর হুঁশ ফিরেছে প্রশাসনের। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেছেন, পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু এতদিন প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে বর্ধমান শহরের বুকে কীভাবে লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি চলছিল, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। যদিও পুলিশের দাবি, এই ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না। এবার সেই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে পুলিশের এই দাবির সঙ্গে স্থানীয়দের বক্তব্য একেবারেই মিলছে না। তাঁরা বলছেন, পুলিশ সবই জানত। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও এই কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। ওঁদের মদতেই এতদিন ধরে জালি মদের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল কারবারিরা।

বর্ধমানে বিষমদ কাণ্ডে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! শনিবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আরও দুই

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বর্ধমান (Bardhaman) শহরের কলেজ মোড়ে জিটি রোডের উপর থাকা একটি হোটেলে মদ খেতে যায় পাঁচজন দিনমজুর। মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয় শুক্রবার। তারপরেই বর্ধমান শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাঘাটে, হোটেলে সব জায়গায় মদ এত সহজলভ্য কেন? লাইসেন্স ছাড়াই বা কীভাবে মদ বিক্রি করছেন হোটেল মালিকরা?

জিটি রোডের পাশাপাশি বর্ধমান শহরের ব্যস্ততম বড়বাজারেও বেশ কয়েকটি ভাতের হোটেলে মদ বিক্রি হত বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এইসব হোটেল থেকে দীর্ঘদিন মদ বিক্রি চলে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এখন দোকানগুলি বন্ধ করছে প্রশাসন। কিন্তু এত দেরিতে বন্ধ করে কী লাভ হবে! মাঝখান থেকে চার-চারটে তরতাজা প্রাণ চলে গেল। এই ঘটনায় বিরোধীদেরও তোপের মুখে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

You might also like