
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে বিবিসি নির্মিত তথ্যচিত্র (BBC documentary) প্রদর্শন ঘিরে নানান জায়গায় সংঘাত ঘটছে। এবার কলকাতায় (Kolkata) সেই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সময়ে ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ তুলল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)।
বাম যুব সংগঠনটির কলকাতা জেলার সম্পাদক পৌলবী মজুমদারের অভিযোগ, ডিওয়াইএফআইয়ের বালিগঞ্জ-১ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় রিপন স্ট্রিটে ওই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছিল। মুল্লাজান হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল তারা। পুলিশ এসে ল্যাপটপ নিয়ে যায়। পরে পার্ক স্ট্রিট থানা থেকে সেই ল্যাপটপ ছাড়িয়ে আনতে হয় বলে দাবি বাম যুব সংগঠনটির।
এ ব্যাপারে শনিবার রাতে দ্য ওয়ালের তরফে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হয় পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “আমি ছুটিতে আছি। কাল একবার ফোন করুন, দেখে নিয়ে বলব।” তাঁকে বলা হয়, বিকল্প যিনি দায়িত্বে আছেন তাঁর নম্বর পাওয়া যাবে? তিনি বলেন, “এখন তো রাত হয়ে গিয়েছে। কাল একবার করুন।”
ডিওয়াইএফআইয়ের বক্তব্য, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছিল কলকাতাতেও তাই হল। পৌলবী বলেন, “দিল্লি অমিত শাহের পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে দিল্লি পুলিশ যা করেছে কলকাতায় লালবাজারও তাই করল। আসলে ২০০২ সালের দাঙ্গার পরে যিনি মোদীকে ফুল পাঠিয়েছিলেন তাঁর পুলিশ খুব একটা খুশি হয়নি।”
এর আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুরেও এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন করেছিল এসএফআই। প্রেসিতে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর ঘণ্টাখানেক ছাত্রবিক্ষোভের পর দেখা যায় কারেন্ট এসেছে।
বিবিসি নির্মিত এই তথ্যচিত্র ভারতে কার্যত নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও লিঙ্ক সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। জরুরি অবস্থার সময়কার আইন ব্যবহার করে তা করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছে। তারমধ্যেই কলকাতায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠল।
বিবিসি’র তথ্যচিত্র: নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, এপ্রিল পর্যন্ত নির্দেশ বহাল